বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজধানীর দুই সিটিতে ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়

প্রকাশিত : ১০:১০ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

রাজধানীর-দুই-সিটিতে-৬-হাজার-টন-বর্জ্য-উৎপাদিত-হয়

রাজধানীর-দুই-সিটিতে-৬-হাজার-টন-বর্জ্য-উৎপাদিত-হয়

রাজধানীতে দুই সিটি কর্পোরেশন প্রায় ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।

এমপি দিদারুল আলমের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ৪০০ টনের অধিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশ বর্জ্যই সেকেন্ডারি ট্রান্সফার ষ্টেশনে এসে থাকে। যা পরিবেশ সম্মত গাড়ির মাধ্যমে নিয়মিত অপসারণ করে ল্যান্ডফিলে ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। বাকী প্রায় ১৬ শতাংশ ঝাড়ুর বর্জ্য, যা খোলা ট্রাকের মাধ্যমে রাতে অপসারিত হয়ে থাকে।

প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় বর্তমানে ৫৪টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার ষ্টেশনের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে। সুবিধাজনক জায়গা না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন  তৈরি সম্ভব হচ্ছে না। তবে বর্তমানে মেয়রের নির্দেশনায় আন্ডারগ্রাউন্ড সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এছাড়া জনসাধারণের অচেতনতার কারণে বিভিন্ন অবৈধ কাঁচা বাজারের বর্জ্য, নির্মাণ সামগ্রী, গাছের ডাল-পালা ও কলকারখানার বর্জ্য রাস্তার পাশে ফেলে যায়। যা পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়ে থাকে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়। বর্জ্য সংগ্রহের হার ৯০ শতাংশের অধিক। বর্জ্য সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং শৃঙ্খলিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক একটি করে ৭০-৮০ টন ক্ষমতা বিশিষ্ট সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ পরবর্তী ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাইমারি কালেকশন সার্ভিস সেন্টার প্রভাইডার নিয়োজিত করে বাসা-বাড়ি ও দোকান পাটের আবর্জনা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে জমা করা হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে যত্রতত্র স্থানে বিদ্যমান কন্টেইনার এবং খোলা ডাস্টবিন বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী উপভোগ করছে নগরবাসী।