সিনেমা শিল্প সংকট পেরিয়ে এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১০:১০ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২২ সোমবার
সিনেমা-শিল্প-সংকট-পেরিয়ে-এখন-ভালোর-দিকে-যাচ্ছে-তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন সিনেমা হল আবার দর্শক ফিরে আসছে। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। একইসঙ্গে আর্টফিল্মে অনুদান দেওয়া প্রয়োজন। আর্টফিল্ম ব্যবসা করতে পারে না কিন্তু আর্টফিল্মের প্রয়োজন রয়েছে।
সোমবার বিকেলে জেনেভায় সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরে নিজ বাস ভবনে এ সব কথা বলেন।
এর পর মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন চলচ্চিত্রব্যক্তিত্ব মোরশেদুল ইসলাম, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, তারিক আনাম খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, এস এ হক অলীক, আফসানা মিমি, চঞ্চল চৌধুরী, মেজবাউর রহমান সুমন, সৈয়দ গাউসুল আলম প্রমুখ।
সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে সরকারের হাজার কোটি টাকা ঋণ তহবিলের কথা পুণর্ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র এরই মধ্যে বিশ্ব অঙ্গনে কিছুটা জায়গা করে নিয়েছে। আমাদের অনেক ছবি এখন আমেরিকা, ইউরোপে চলে।
সংস্কৃতিসেবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং দেশকে অপসংস্কৃতি, তরুণদের বিপথগামিতা, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি থেকে রক্ষার জন্য আসলে দেশে একটি সংস্কৃতি সুনামি দরকার বলে আমি মনে করি। সেটি যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের তরুণদের, নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারবো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি সিনেমা আবার দর্শকদের হলে ফিরিয়ে এনেছে। সেই সিনেমাগুলোর একটি ‘হাওয়া’। এর পরিচালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আমি বিদেশে ছিলাম। জানার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। সেই মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কর্মকর্তা মামলা করেছে তাকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আইনের যদি ব্যত্যয় হয়ে থাকে তাহলে পরিচালককে নোটিশ করতে পারতো। সরাসরি কোর্টে গিয়ে মামলা করা সমীচীন হয়নি।
‘শনিবারের বিকেল’ সিনেমাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় হলি আর্টিজানে যে হামলা হয়েছিল সেই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে এই সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে দু’জন পুলিশ অফিসার মারা গেছেন এবং আমাদের পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জঙ্গিদের দমন করেছিল। সেন্সর বোর্ডের অভিমত, সেই বিষয়গুলো সিনেমাটিতে আসেনি। সে জন্য এই দৃশ্যগুলো সংযোজন করতে বলা হয়েছে। সেটি তারা কিছুটা করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে কিন্তু সেটিও যথেষ্ট নয়। তারা আপিল করেছিল। আপিল কর্তৃপক্ষ সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজককে জানিয়ে দেবে কি কি সংযোজন করা প্রয়োজন। সেগুলো সংযোজন হলে আমি মনে করি এই সিনেমা রিলিজ করার ক্ষেত্রে যে সমস্যা আছে সেটি কেটে যাবে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ওটিটি একটি ক্রমবর্ধমান আধুনিক প্ল্যাটফর্ম এবং বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতা। আমরা এটিকে প্রমোট করতে চাই। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এতো বিস্তৃত, এতো ব্যাপকভাবে ক্রমবর্ধমান যে এটিকে সেন্সর করা সম্ভব নয়। সেজন্য এটি একটি নীতিমালার ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়াই বাঞ্ছনীয়।