সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সৌন্দর্যের লীলাভূমি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২২ সোমবার

সৌন্দর্যের-লীলাভূমি-সীতাকুণ্ডের-বাঁশবাড়িয়া-সমুদ্র-সৈকত

সৌন্দর্যের-লীলাভূমি-সীতাকুণ্ডের-বাঁশবাড়িয়া-সমুদ্র-সৈকত

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী এখানে আসেন একটু প্রশান্তির খোঁজে। কিন্তু গত কয়েকবছর পর্যটন এলাকা বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের উপকূলীয় বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জোয়ারের পানিতে। ঝাউগাছ ক্ষতবিক্ষত হয়ে উপড়ে পড়েছে।

এই সৈকতটি পর্যটকেদের আকর্ষণ করতো। কারণ ঝাউবাগানের বাইরে বিশাল চর। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে মানুষ খুঁজতে যেত শান্তির পরশ।  এখানে হতো পিকনিকসহ নানা অনুষ্ঠান। গত তিন চার বছর ধরে জোয়ারের ঢেউ ও স্রোতে ভাঙতে শুরু করে পর্যটন ও বিনোদনের এ জনপ্রিয় সৈকতটি। এভাবে ভাঙতে থাকলে সৈকতের ঝাউগাছ বিলীন হয়ে যেতে পারে। 

সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত-প্রয়োজন রক্ষণাবেক্ষণ। ছবি: দৈনিক প্রভাতীউপকূলীয় বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘জোয়ারের পানির আঘাতে গাছ গুলোর এই অবস্থা হয়েছে। সৈকতটি রক্ষা করতে হলে দ্রুততম সময়ে ম্যানগ্রোভ বনায়ন করতে হবে। না হলে জোয়ারের পানিতে এ ভাঙন রোধ করা যাবে না।

স্থানীয় দোকানদার মানিক জানান,পর্যটক ঘিরে সৈকতের আয় দিয়ে সংসার চলতো কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। কারণ করোনার পর থেকে পর্যটকের আনাগোনা প্রায় নেই বললেই চলে।

স্থানীয় বাসিন্দা রহিম উদ্দিন জানান, বেড়িবাঁধের বাইরের ঝাউ বাগান থেকে সমুদ্র ছিল আরো অন্তত এক কিলোমিটার দুরে। এখন এক কিলোমিটার হাঁটাপথ আর নেই। 

অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হতে পারতো এই সৈকত। ছবি: দৈনিক প্রভাতীসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলে ২০১৩ সালের দিকে সৈকতটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে পর্যটকদের আসা শুরু হয়। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান থেকে পর্যটকরা দল বেধে আসতো এই সৈকতে। কিন্তু সেই সংখ্যাটা কমে এসেছে।

স্থানীয়রা মনে করেন, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের এই সৌন্দর্য রক্ষা করা গেলে এটিও দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। এছাড়া স্থানীয় উন্নয়নের প্রভাব ফেলবে এই