বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৮শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চায় ভারতীয় বিনিয়োগকারিরা

প্রকাশিত : ১০:১০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২২ রোববার

৮শ-কোটি-টাকা-বিনিয়োগ-করতে-চায়-ভারতীয়-বিনিয়োগকারিরা

৮শ-কোটি-টাকা-বিনিয়োগ-করতে-চায়-ভারতীয়-বিনিয়োগকারিরা

বাংলাদেশে ৮শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চায় ৯ ভারতীয় কোম্পানি। এক্ষেত্রে তারা নিত্যপণ্য, পরিবহনখাত, পর্যটন এবং জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। এরইমধ্যে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি সই হয়েছে এবং বাংলাদেশের নিটল গ্রুপের সঙ্গে ৩শ’ কোটি টাকার বিনিয়োগ চুক্তি করেছে। 

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। 

বিডার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও নিটল নীলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমাদ। 

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ একটি প্রতিনিধিদল ভারতের রাজস্থানের রাজধানীর জয়পুর সফর করেন। এই প্রতিনিধিদলে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানও ছিলেন। ভারতের ব্যবসায়ীদের সাথে গত ২৩ আগস্ট তাদের মূল সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভারতের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ আগ্রহের কথা জানান।  

তিনি বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারিরা বাংলাদেশের বিভিন্নখাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ভারতীয় ৯টি কোম্পানি  ইওআই (এক্সপ্রেশন অব ইনটারেস্ট বা আগ্রহ ব্যক্ত) স্বাক্ষর করে। ভারতীয় বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৮শ’ কোটি টাকার উপরে। এরমধ্যে নিটল নীলয় গ্রুপের সঙ্গে টিভিএস, থ্রি হুইলার কার্গো এবং মাস্টার্ড ওয়েল যৌথভাবে বিনিয়োগের চুক্তি সই হয়। 

এছাড়াও বিজয় এন্টারপ্রাইজ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের চুক্তি সই হয়। 

সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। এর আগে এই চুক্তিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কনফেডারেশন অব ইনডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে সভা রয়েছে। এর ফলে আরো বেশি ভারতীয় বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে। 

আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে খুবই আগ্রহী। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ভারতে রফতানি হয়। এটাকে ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা গেলে বাণিজ্য ঘাটতি অনেকাংশে কমে আসবে।