শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশের অগ্রগতি থামাতে স্বাধীনতা বিরোধীরা গুজব ছড়াচ্ছে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২২ শনিবার

দেশের-অগ্রগতি-থামাতে-স্বাধীনতা-বিরোধীরা-গুজব-ছড়াচ্ছে-টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

দেশের-অগ্রগতি-থামাতে-স্বাধীনতা-বিরোধীরা-গুজব-ছড়াচ্ছে-টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, গুজব ছড়াতে ফেসবুকের পাশাপাশি ইন্সটাগ্রাম-লিংকডইনের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এসব মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সম্প্রীতি নষ্ট করাসহ দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখা আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, শুধু ফেসবুক নয়; স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা যেহেতু ইন্সটাগ্রাম-লিংকডইনসহ অনেক মাধ্যম ব্যবহার করছে। তাই আমাদের শুধু ফেসবুকের দিকে খেয়াল রাখলে চলবে না। অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। একটি ‘কমন ডাটাবেজ’ তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশে যেভাবে শিকড় গেড়েছে তা উপড়ে ফেলা বিরাট চ্যালেঞ্জ। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি দীর্ঘদিন ধরেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কাজ করছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট রিপোর্ট করে তা মুছে ফেলার ক্ষেত্রে আগে আমাদের সফলতার হার ছিল ৫ ভাগ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ ভাগ। আমরা বিটিআরসি’র মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের আপত্তিকর পোস্ট ও কমেন্ট মুছে ফেলার জন্য একটি অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করছি। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি রুখতে ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সংগঠনের অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডা. একরাম চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়া শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রিতু, ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাবেক সভাপতি মুহিতুল ইসলাম সুজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।