এশিয়া কাপে বল হাতে স্পটলাইটে থাকবেন যারা
প্রকাশিত : ০১:৩০ এএম, ২৭ আগস্ট ২০২২ শনিবার
এশিয়া-কাপে-বল-হাতে-স্পটলাইটে-থাকবেন-যারা
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ): এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সাফল্যের কাণ্ডারি হবেন সাকিব আল হাসান। তার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ। নিজের দিনে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠার পাশাপাশি বল হাতেও ভয়ংকর এক ক্রিকেটার তিনি।
টি-২০তে সেরা বোলারের তকমা বহু আগেই পেয়েছেন সাকিব। এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও তিনি। ১২১ উইকেট ঝুলিতে আছে তার। তাই এশিয়ার মঞ্চে নিজেকে আরো একবার চেনানোর পালা সাকিবের।
হাসারাঙ্গা ডি সিলভা (শ্রীলংকা): টি-২০ ফরম্যাটে গত বছরটি স্বপ্নের মত কেটেছে শ্রীলংকার স্পিনার হাসারাঙ্গার। ২০ ম্যাচে ৩৬ উইকেট নেন তিনি। এতে দলের স্পিন বিভাগে অন্যতম ভরসা ছিলেন হাসারাঙ্গা। তার ঘুর্ণিতে বেশ কিছু ম্যাচও জিতে শ্রীলংকা।
গত টি-২০ বিশ্বকাপ হয়েছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এবারের এশিয়া কাপও সেই মরুর দেশেই। যা হাসারাঙ্গার জন্য আনন্দের বিষয়। ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে গত টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন হাসারাঙ্গা। তাই অতীতের অভিজ্ঞতা দিয়ে এশিয়া কাপেও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
রশিদ খান (আফগানিস্তান): গত টি-২০ বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান। তবে দল তার থেকে আরো বেশি প্রত্যাশা করেছিলো। বিশ্বকাপে না পারলেও,এশিয়া কাপে দলের চাহিদা পূরণ করতে মরিয়া তিনি।
টি-২০তে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী রশিদ। ৬৬ ম্যাচে ১১২ উইকেট রয়েছে তার। সদ্য শেষ হওয়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে নিষ্প্রভ ছিলেন এই লেগি। ৫ টি-২০তে মাত্র ৩ উইকেট নেন তিনি।
ভুবেনশ্বর কুমার (ভারত): ইনজুরির কারণে জাসপ্রিত বুমরাহ ও ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা মোহাম্মদ শামিকে ছাড়াই এবারের এশিয়া কাপ খেলবে ভারত। তাই ভারতের বোলিং লাইন-আপ কিছুটা হলেও নড়বড়ে। তবে অভিজ্ঞতার জোরে দলকে সাফল্য এনে দিতে অবদান রাখবেন পেসার ভুবেনশ্বর কুমার। ৭২টি টি-২০তে ৭৩ উইকেট আছে তার।
হারিস রউফ (পাকিস্তান): এশিয়া কাপের আগে বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ইনজুরির কারণে দলের সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে হারায় তারা। ফলে এবার পাকিস্তানের বোলিংকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন হারিস রউফ। সম্প্রতি বিগ ব্যাশ লিগে ১৫০ কি.মি. গতিতে ধারাবাহিকভাবে বল করেছেন তিনি। ৩৫ টি-২০তে ৪২ উইকেট আছে তার।