সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে: বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের
প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার
সরকার-পরিবর্তন-চাইলে-নির্বাচনে-আসতে-হবে-বিএনপিকে-ওবায়দুল-কাদের
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, সরকারের যদি পরিবর্তন চান, নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাচিপের সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব ডা. মো. এম এ আজিজ ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয় সরকারের অনেকগুলো নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়েছে। কেউ কি কোনো প্রশ্ন করেছে? আমরা জালিয়াতি, কারচুপি, মারামারিমুক্ত নির্বাচন চাই।
আরো পড়ুন> প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছেন: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নির্বাচন বলতে ভোট জালিয়াতি-কারচুপি বোঝে, তারাই ইভিএমে বিশ্বাস করে না। তারা একদিকে বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে আসবে না, আবার বলে ইভিএমে নির্বাচন করবে না।
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সংলাপে এলেন না কেন? নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণ যদি ভোট না দেয়, তবে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দেবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এ যাবত হয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সব থেকে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। ’৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ’৭৫ এর হত্যাকাণ্ড। আর এতে যে জিয়াউর রহমান জড়িত নন, এর ব্যাখ্যা
কীভাবে দেবেন? একটি হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান, আরেকটি ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তার ছেলে তারেক রহমান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের জন্য একটি পরিবার শেষ হয়ে গেল। তারা এ সেক্রিফাইস করেছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ আলোকিত। বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীনতা, শেখ হাসিনার হাতে মুক্তি। এটাই নিয়তি।