শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নারী হিসেবে আমি ক্ষুব্ধ ও ভেঙে পড়েছি: মিমি

প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

নারী-হিসেবে-আমি-ক্ষুব্ধ-ও-ভেঙে-পড়েছি-মিমি

নারী-হিসেবে-আমি-ক্ষুব্ধ-ও-ভেঙে-পড়েছি-মিমি

গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের গুজরাট সরকার। বিলকিস বানুকে গণধর্ষণ মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী দল। আদালতের এই আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরাও।

এবার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসদ ও টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এ নিয়ে একটি টুইট করেছেন এই অভিনেত্রী। তাতে তিনি বলেন—‘গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে কীসের ভিত্তিতে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো? ১৫ আগস্টের ভাষণটি কী নিয়ে ছিল? আপনি কি নারীর সম্মান ও অধিকারের কথা বলেছিলেন? একজন নারী হিসেবে আমি ক্ষুব্ধ ও ভেঙে পড়েছি।’

বিলকিস বানু নিজেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। যা প্রকাশ্যে আনেন তার আইনজীবী শোভা। আদালতের এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস নড়ে গিয়েছে বিকিসের। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গত ২০ বছরের ট্রমা আমার উপর আবার বয়ে গেল যখন আমি শুনলাম যে ১১ জন দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি যারা আমার পরিবার এবং আমার জীবন ধ্বংস করেছে, এমনকী আমার কাছ থেকে আমার তিন বছরের মেয়েকেও কেড়ে নিয়েছে, তারা আজ মুক্ত হয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে।’

২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার সময়ে বিলকিস বানুকে গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের আরো ৭ জনকে হত্যা করার অভিযোগে ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের এক বিশেষ সিবিআই কোর্ট অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে সেই রায় বহাল রাখেন বম্বে হাইকোর্ট।

১৫ বছরের বেশি সময় কারাবাসের পর, আসামিদের একজন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি গুজরাট সরকারের কোর্টে দায়িত্ব দেয়। গুজরাট সরকার তাদের সাজা মওকুফের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। এরপর এ বিষয়ে গঠিত কমিটি ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করে।