শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাহির বিরুদ্ধে দুই প্রযোজকের মামলার প্রস্তুতি 

প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

মাহির-বিরুদ্ধে-দুই-প্রযোজকের-মামলার-প্রস্তুতি 

মাহির-বিরুদ্ধে-দুই-প্রযোজকের-মামলার-প্রস্তুতি 

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। তার অভিনীত ‘আশীর্বাদ’ সিনেমাটির শুটিং শেষ করে এরই মধ্যে মুক্তির তারিখ ঠিক করা হয়। এদিকে সিনেমাটি কেন্দ্র করে মাহি ও সিনেমাটির প্রযোজকের বাবযুদ্ধ যেন থামছেই না। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্রে অনেকেই বিব্রত হচ্ছে। বিশেষ করে করে জেনিফার ফেরদৌসের লাগামহীন মন্তব্যে অসস্থিতে অনেকেই। এদিকে মাহির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেনিফার।   

সরকারি অনুদানের অর্থ সহযোগিতায় নির্মিত ‘আশীর্বাদ’ সিনেমার প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস ও ‘ও মাই লাভ’ সিনেমার প্রযোজক জাহাঙ্গীর শিকদার ইতোমধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা যায়। 

‘আশীর্বাদ’ সিনেমার মুক্তিকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলন করেন জেনিফার। এতে আমন্ত্রণ করা হয়নি সিনেমাটির নায়ক রোশান ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। সংবাদ সম্মেলনে রীতিমত মাহিকে তুলোধুনো করেন এই প্রযোজক। এরপরই পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মাহিয়া মাহি। সেময় তিনি বলেছেন, সিনেমাটির প্রযোজক ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেলেও খরচ করেছেন বড় জোর ২৫ লাখ টাকা। মাহির এমন বক্তব্যে সায় দেন সিনেমাটির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ও রোশান। এর পর যেন লাগামহীনভাবে নেটদুনিয়ায় বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন জেনিফার। সিনেমার পাশাপাশি মাহির ব্যাক্তিগত বিষয়ও উঠে আসে জেনিফার বক্তব্যে। 

অন্যদিকে ‘ও মাই লাভ’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য মাহিয়া মাহি নগদ ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক বাবদ এবং এক লাখ টাকা পোশাক বাবদ নিয়েছিলেন। পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘একাধিকবার গল্প শোনার পর তিনি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। লোকেশন ইউনিট চলে যাওয়ার পর এবং তার শুটিংয়ের আগের দিন তিনি  গল্প পরিবর্তন ও দ্বিতীয় নায়িকাকে সিনেমা থেকে বাদ দিতে বলেন। এতে সম্মত না হলে মাহি সিনেমাটিতে কাজ করায় অপারগতা প্রকাশ করে। কিন্তু শিল্পী সমিতির তদানীন্তন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের মধ্যস্থতায় কয়েক দফায় পাঁচ লাখ টাকা ফেরত দিলেও ছয় লাখ টাকা ফেরত দেননি। প্রযোজক জাহাঙ্গীর শিকদার এই ছয় লাখ টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হয়ে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী তার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লিখেন, ‘প্রযোজক পরিচালক তারা আর্টিস্টদের বাবা মা। নিজেদের মধ্যে আমাদের ভুলবোঝাবুঝি, ভালো লাগা খারাপ লাগা থাকতেই পারে, সেটা সব পরিবারেই হয়। কিন্তু একজন প্রযোজক হয়ে একজন অভিনেত্রীর পারসোনাল বিষয় নিয়ে এতো বাজে কথা বলে এ্যাটাক করা অত্যান্ত দৃষ্টিকটু ও ঘৃনিত কাজ বলে আমি মনে করি।

তিনি আরো লেখেন, ‘টাকার বিনিময়ে হলেও একটি চলচ্চিত্রে আর্টিস্টদের কষ্টটা কম হয় না, আর বিশেষ করে কেন্দ্রীয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের তাদের প্রতিটি চলচ্চিত্রই স্বপ্নের চলচ্চিত্র হয়। অনেক সিজিন্যাল প্রযোজক স্যার/ম্যাডামরা আজকাল আর্টিস্টদের ঘাড়ে পাড়া দিয়ে, ছোট করে কথা বলে ভিডিও বার্তা দিয়ে নিজেদের পাবলিসিটি ভালোই করছেন। কিন্তু একজন আর্টিস্টসত্তা হিসাবে আমার কাছে বিষয়টি ভালো লাগেনি।’

চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের প্রশ্ন মাহি-জেনিফার এমন বাকযুদ্ধে চলচ্চিত্রশিল্প কতটা লাভবান হচ্ছে? অন্যদিকে প্রযোজক-শিল্পীই বা কতটা লাভবান হচ্ছেন?