আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে বিয়ে-সন্তান জন্মদানে বিলম্ব করছেন চীনা নারীরা!
প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
আর্থ-সামাজিক-উন্নতিতে-বিয়ে-সন্তান-জন্মদানে-বিলম্ব-করছেন-চীনা-নারীরা
দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এসব তথ্য জানিয়েছে।
কমিশনের বরাতে রয়টার্স জানায়, চীনের অধিকাংশ নারীরা বিয়ে কিংবা বিবাহিত নারী সন্তান জন্মদানের পরিকল্পনায় বিলম্ব করছেন। কারণ দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির ফলে এ গভীর পরিবর্তন দেখা গেছে।
জনসংখ্যাবিদরা একই কথা বলছে। তারা বলেন, চীনের করোনা প্রাদুর্ভাব দূর করতে কঠিন নিয়ন্ত্রণ মানুষের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। যার কারণে সন্তান জন্মদানের ইচ্ছা কমে গেছে।
কমিশন জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কিছু মানুসের বিয়ে ও সন্তান জন্মদানে প্রভাব ফেলেছে।
এ বছর চীনের সবচেয়ে কম সংখ্যক বাচ্চা জন্মগ্রহণ করেছেন। জনসংখ্যাবিদরা বলছেন, গত বছরের ১০.৬ মিলিয়নের তুলনায় সেটি এবার ১০ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এ সংখ্যা ২০২০ সালে চীনে বাচ্চা জন্মদানের হার ১১.৫ শতাংশ কমেছে।
বিশ্বের যে কয়েকটি দেশের মানুষ সন্তান জন্মদানে অক্ষমতায় ভুগছে চীন তাদের অন্যতম। ২০২১ সালে ফার্টিলিটি রেট ছিল ১.১৬। ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক সন্তানের নীতি চাপিয়ে দিয়েছিল চীন। তবে সম্প্রতি দেশটির সরকার জানায়, চীন জনসংখ্যার সংকটে ভুগছে।
জনসংখ্যা হ্রাসের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের কর্তৃপক্ষ সন্তান নিলে কর মওকুফ, দীর্ঘ মাতৃত্বের ছুটি, মেডিকেল ইনস্যুরেন্স, বাড়ির ভুর্তুকির ঘোষণা করেছে। এমনকি তৃতীয় সন্তান নিলে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার ঘোষণা করে চীন।