অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখায় মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মায়ের প্রেমিক
প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
অন্তরঙ্গ-মুহূর্ত-দেখায়-মেয়েকে-ধর্ষণের-পর-হত্যা-করে-মায়ের-প্রেমিক
পুলিশের রাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির টারকম্যান এলাকায় ২০ বছর ধরে কসাইয়ের কাজ করছিল বিহারের বাসিন্দা রিজওয়ান। অভিযুক্ত প্রায় ইমুনা খাদার এলাকায় গাঁজা সেবনের জন্য যাতায়াত করতো।
গত ৪ আগস্ট দারাইয়াগঞ্জের একজন বাসিন্দা জানান যে, তিনি স্ত্রী ও চার মেয়ে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর ৪টার দিকে ঘুম ভাঙলে তিনি একজন মেয়েকে নিখোঁজ দেখতে পান। প্রতিবেশীদের বাড়ি খোঁজাখুঁজির পর কোনো সন্ধান না পেয়ে তিনি অপহরণ মামলা করেন।
পুলিশের একজন জেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ১৮ আগস্ট ইয়ামুনা খাদার এলাকা থেকে নিখোঁজ সেই মেয়েটির মরদেহটি পাওয়া যায়। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী অপহরণ মামলার সঙ্গে শিশু নির্যাতন মামলা যুক্ত করা হয়।
কেন্দ্রীয় পুলিশের সহকারী কমিশনার শেতা চৌহান বলেন, ৫০ জনের একটি পুলিশের দল মামলাটি তদন্ত শুরু করে এবং অপরাধীকে ধরতে অভিযান শুরু করে। কিন্তু আশপাশের সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে কোনো ক্লু মেলেনি। এ মামলায় ইয়ামুনা খাদার এলাকার ২০০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, একটি গোপন সূত্রের মাধ্যমে পেশায় কসাই রিজওয়ানের সন্ধান পাই। সে ঐ মেয়ের সঙ্গে মিষ্টান্ন ও বিভিন্ন জিনিস দিয়ে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিল। যেদিন শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল সেদিন রিজওয়ান ইয়ামুনা খাদারে এসছিল। তাকে ধরার পর অপরাধ স্বীকার করে যা সবাইকে হতভম্ব করে দেয়।
সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, ইয়ামুনা খাদার এলাকায় চলাফেলার সময় শিশুটির মায়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে কসাই রিজওয়ান। মায়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিশুটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলে সে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, একদিন মায়ের সঙ্গে কসাই রিজওয়ানের ঘনিষ্ঠতা দেখে ফেলে আট বছরের মেয়ে। এরপর মেয়েটিকে সরিয়ে দিতে সিদ্ধান্ত নেয় রিজওয়ান। সেই হিসেবে ঘটনার দিন রাতে ঐ পরিবারের সবাই ঘুমানোর জন্য অপেক্ষা করে সে। ঐ দিন রাতে ঘরে ঢুকে শিশুটি নিয়ে ইয়ামুনা খাদার এলাকার পাশের জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে রিজওয়ান। এরপর মেয়েটির গলা কেটে ফেলে সে। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।