‘হাওয়া’ প্রদর্শন নিষিদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ
প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২২ সোমবার
হাওয়া-প্রদর্শন-নিষিদ্ধে-লিগ্যাল-নোটিশ
সোমবার (২২ আগস্ট) সেন্সর বোর্ডকে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
এর আগে ‘হাওয়া’র পরিচালক মিসবাউর রহমান সুমনের নামে মামলা করেছে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ লংঘনের অভিযোগে বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়। সিনেমাটি মুক্তির পর আইন লংঘনের বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল দৈনিক প্রভাতী।
আরো পড়ুন>>> মামলা হলো ‘হাওয়া’র পরিচালকের নামে
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লংঘনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় বাদী হয়েছেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নারগিস সুলতানা। স্বাক্ষী করা হয়েছে তদন্ত কমিটিতে কাজ করা অপর ৩ সদস্য আব্দুল্লাহ আস সাদিক, অসীম মল্লিক ও রথিন্দ্র কুমার বিশ্বাসকে।
এর আগে, গত ২৯ জুলাই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। মুক্তির পর চলচ্চিত্রটির রিভিউ থেকে জানা যায়, এ চলচ্চিত্রে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
বিস্তারিত বর্ণনা করে বলা হয়, মাছ ধরা বোট নয়নতারার সরদার চান মাঝি একটা পাখি পোষে। নিজে জলপানের সময় পাখির খাঁচার খুরিতেও সে জল ঢেলে দেয়। নিয়ম করে খেতে দেয় পাখিটিকে। আবার পথ হারিয়ে এই শালিককে উড়িয়ে দেয় সে। পোষা পাখি ফিরে না আসায় আশা খোঁজে। তারপর পাখি ফিরে আসে। সেটিকে পুড়িয়ে উদরস্থ করতেও সময় লাগে না চানের। হলভর্তি দর্শক চোখমুখ কুঁচকে ‘চান’ চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর চিবিয়ে চিবিয়ে পোষা পাখির হাড়মাংস খাওয়া দেখেন। তীব্র রোমাঞ্চ আর ঘৃণা নিয়ে তাকান। দৃশ্যটি তাদের মাথায় গেঁথে যায় অনেক দিনের জন্য।
আরো পড়ুন>>> বন্যপ্রাণী বন্দি ও হত্যা, আইনের আওতায় আসছে সিনেমা ‘হাওয়া’
রিভিউ প্রকাশের পর হাওয়া চলচ্চিত্রে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা ও এক পর্যায়ে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে বন্যপ্রাণী আইন লংঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন প্রেক্ষাগৃহফেরৎ দর্শকরাও।
সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের অধীনে প্রযোজিত এবং ফেসকার্ড প্রোডাকশনের অধীনে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন- চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু প্রমুখ।