মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

২১ আগস্ট দেশকে নেতৃত্বশূন্য করাই ছিল বিএনপির মিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২২ রোববার

২১-আগস্ট-দেশকে-নেতৃত্বশূন্য-করাই-ছিল-বিএনপির-মিশন

২১-আগস্ট-দেশকে-নেতৃত্বশূন্য-করাই-ছিল-বিএনপির-মিশন

স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বর যেভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, ঠিক একই উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় চালানো হয়েছিল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। বিএনপির এ হামলার মিশন ছিল দেশকে নেতৃত্বশূন্য করা।

ঐদিন দেশে বিরোধী মতকে দমন ও নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলা করা হয়। সেই হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন এবং আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ নেতাকর্মী।

বর্বরোচিত সেই হামলার হোতা ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মাঠ পর্যায়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দীন। প্রাথমিকভাবে তাজউদ্দীন হরকাতুল জিহাদকে (হুজি) পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করেন।

হামলা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় হুজির রাজশাহী জেলার প্রধান মুফতি হান্নানকে। এ হামলা বাস্তবায়ন হলে হুজিকে রাজনীতিতে আসার সুযোগ দেওয়া হবে- এ মর্মে হুজির আমির আবদুস সালামকে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত হুজি সে সময় নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল।

এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর সঙ্গে বিএনপির লালিত বিচ্ছিন্নতাবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থার শেকড় জড়িত। সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে তারেক রহমানসহ হামলায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। কেননা, একাত্তরের পরাজিতরা ও তাদের দোসররা বারবার আগস্ট মাসকে তাদের দানবীয় হত্যাযজ্ঞের মাস হিসেবে বেছে নিয়েছে। ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা এবং ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা একসূত্রে গাথা।