২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনা হয় হাওয়া ভবনে
প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২২ শনিবার
২১-আগস্ট-গ্রেনেড-হামলার-মূল-পরিকল্পনা-হয়-হাওয়া-ভবনে
তবে ঐ সময় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আর এ খবরেই হতাশ হয়ে পড়েন খালেদাপুত্র তারেক রহমান। তখন তার মুখ থেকে বের হয়েছিল- ‘শেখ হাসিনা বেঁচে গেছে আমাদের সর্বনাশ হচ্ছে’।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি মিছিলে অংশ নিতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। রাস্তার উপর খোলা ট্রাকে তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী মঞ্চ। কিন্তু এই নেতাকর্মীরাই সেদিন দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
মঞ্চে কথা বলা শুরু করেন শেখ হাসিনা। ঠিক এমন সময় ট্রাকের উপর গ্রেনেড ছোঁড়ে হামলাকারীরা। সেদিন একই ধরনের শাড়ি পরা ছিলেন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি আইভি রহমান। হামলাকারীদের বোঝার ভুলে শেখ হাসিনার পরিবর্তে গ্রেনেড গিয়ে পড়ে আইভি রহমানের ওপর। এরপরই মাটিতে পড়েন তিনি। বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এতেই নস্যাৎ হয় তারেক রহমানের ঘৃণ্য পরিকল্পনা।
বেশ কয়েকটি গ্রেনেড হামলায় বিস্ফোরণের শব্দ, চারদিকে ছিন্নভিন্ন লাশ, আহতদের আর্তনাদ, রক্তাক্ত নেতা-কর্মীদের ছোটাছুটিতে সেদিন ঐ এলাকা বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঐ ঘটনা স্তব্ধ করে দিয়েছিল গোটা জাতিকে।
ভয়াবহ সেই হামলায় মানবঢাল তৈরি করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিলেন আওয়ামী লীগের উদ্দীপ্ত নেতাকর্মীরা। হামলার সময় শেখ হাসিনার গাড়ি যখন বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে ছুটে চলছে সুধাসদনের দিকে, সেই সময় তারেক জিয়াকে জানানো হয়- ‘অপারেশন সাকসেসফুল বাট শেখ হাসিনা এলাইভ।’ তারেক জিয়া প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেনি কথাটি।
তারপর তিনি অপরপ্রান্তে ঊর্ধ্বতন সেই কর্মকর্তার কাছে আবার জানতে চান, অপারেশন সাকসেসফুল যদি হয় তাহলে শেখ হাসিনা বাঁচলো কীভাবে? অপরপ্রান্তের ঐ কর্মকর্তা জানান, এটা তাদের কাছেও অবিশ্বাস্য। কিন্তু তারা নিশ্চিত শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে এখন সুধাসদনের দিকে যাচ্ছেন।
তখন তারেক জিয়া অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তার সামনে ছিল একটি গ্লাস, সেই গ্লাসটি তিনি ভেঙে ফেলেন। গ্লাসটি ছুড়ে মারেন দেয়ালে। এরপরই তারেক জিয়া সেখানে উপস্থিত মামুনকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা বেঁচে গেছে আমাদের সর্বনাশ হচ্ছে।’