আপনি এখনো যে কারণে সিঙ্গেল!
প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার
আপনি-এখনো-যে-কারণে-সিঙ্গেল
অনেকেই দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে জড়াতে ইচ্ছুক থাকলেও পছন্দমতো সঙ্গী না পাওয়ায় সেটা সম্ভব হয় না। মনের মতো সঙ্গী না পাওয়াটা বিষয়টিকে অনেকেই দুর্ভাগ্য হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। বিষয়টি ভাগ্যের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল হলেও আপনার কিছু বৈশিষ্ট্যই হয়ত আপনাকে বঞ্চিত করছে।
চলুন জেনে নিই এমন ৫টি কারণ, যার ফলে একজন মানুষ পছন্দমত সঙ্গী পেতে বেশ দুর্ভোগ পোহান-
অবিশ্বাস
আগে কোনো প্রেমের সম্পর্ক থেকে থাকলে এবং তাতে প্রতারিত হয়ে মন ভেঙে থাকলে যে কারও পক্ষেই সহজে অন্য কাউকে বিশ্বাস করা বেশ কঠিন। পরবর্তীতে নতুন যে কোনো সম্পর্কে জড়াতে গেলেও এর প্রভাব থাকে। যার কারণে নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনেক দ্বিধা তৈরি হয়। এ কারণে অনেকেই নতুন সম্পর্কেও মন ভাঙা নিয়ে ভয়ে থাকেন।
অতীতের পিছুটান
পুরোনো সম্পর্ক ছেড়ে এলেও মনে সেটির দাগ থেকেই যায়। এমনকি অতীত প্রায়ই আপনাকে পেছনে টেনে নিতে প্রলুব্ধ করতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন- অতীত দিনশেষে অতীতই, বর্তমানে সেটির কোনো জায়গা নেই। অতীতকে পেছনে ফেলে বর্তমানকে উপভোগ করুন। তাতেই আপনি দিনশেষে মনের মতো সঙ্গীর মধ্যে সুখ খুঁজে পাবেন।
আত্মবিশ্বাসের অভাব
আপনার ভুলে অতীতে কোনো সম্পর্ক ভেঙে গেলে সারাক্ষণ নিজেকে দোষারোপ করবেন না কিংবা হীনমন্যতায় ভুগবেন না। কারণ এতে যেমন আপনি সামনে এগোতে পারবেন না, তেমনি নতুন কোনো সম্পর্কেও জড়ানোর সাহস পাবেন না। কাজেই নিজেকে সময় দিন এবং মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন।
আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা
অনেক সময় সিনেমা বা বই থেকে প্রেম সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আমরা মনে মনে আদর্শ সঙ্গীর ছবি তৈরি করে ফেলি। কিন্তু কোনো মানুষই পুরোপুরি নিখুঁত নয়। যেসব বৈশিষ্ট্য আপনি মনে এঁকে রাখা আদর্শ সঙ্গীর ছবিতে রেখেছেন, সেগুলো কিন্তু বাস্তবজীবনে বিপিরীত লিঙ্গের একজন মানুষের মাঝে নাই থাকতে পারে। কাজেই সঙ্গীর কোন গুণকে প্রাধান্য দেবেন, তা আগেই ঠিক করে নিন। মনে রাখবেন, পূর্ণতা-অপূর্ণতা মিলিয়েই একজন মানুষ।
সম্পর্কে চালকের আসনে থাকার প্রবণতা
অনেকেই ভাবেন সঙ্গীর সম্পর্কে জড়ানোর প্রথম দিন থেকেই তিনি সেই সম্পর্কের চালকের আসনে বসবেন। কিন্তু এতে আপনার ক্ষতিই বেশি। হয়ত মনে হবে সঙ্গী বুঝি আপনার কাছেই রয়েছে, কিন্তু মন থেকে তিনি ততক্ষণে আপনার থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন। কাজেই সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসুন। বরং দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলার দিকে জোর দিন।