যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়েই ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বিএনপি
প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
যুদ্ধাপরাধীদের-সঙ্গে-নিয়েই-ক্ষমতায়-যাওয়ার-স্বপ্ন-দেখছে-বিএনপি
২০০৪ সালে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ১৯৭৫-এর পুনরাবৃত্তিরই চেষ্টা ছিল। তারা এক আঘাতেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছে। কাজেই বাবার পায়ের ছাপ ধরেই সামনে এগোতে চেষ্টা করছেন তারেক রহমান। ১৯৭৫ সালের অভ্যুত্থানের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জিয়াউর রহমানের।
উইকিলিকসের ফাঁস করা কূটনৈতিক ক্যাবলে বাংলাদেশের লুটপাটের সরকার ও সহিংস রাজনীতির প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে তারেক রহমানকে। ফাঁস হওয়া ক্যাবল থেকে জানা গেছে, তারেক রহমানের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছিল ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজা হওয়ার পর দল ও দলের বাইরে তার অবস্থান নষ্ট হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন> ষড়যন্ত্র ১৯৭১ থেকে শুরু হয়েছে, এখনো চলছে: মায়া চৌধুরী
এদিকে বিএনপির ছায়ায় থেকে দেশজুড়ে গ্রামেগঞ্জে কমিটি গঠন করে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গেল বছর দুর্গাপূজার সময় সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক সহিংসতার জন্য জামায়াতকে দায়ী করা হচ্ছে। এসব সত্ত্বেও জামায়াত ছাড়ছে না বিএনপি; বরং যুদ্ধাপরাধীদের দলটিকে সঙ্গে নিয়েই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বানচাল করতে দেশে জামায়াত একা যে সন্ত্রাস শুরু করেছিল, নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি আদায় করতে গিয়ে বিএনপি তাতেই যোগ দেয়। তারা স্বতন্ত্র কোনো আন্দোলন গড়ে তোলেনি। তাদের আন্দোলনের নামে নাশকতা অতীতের সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। তৈরি হয় নতুন নতুন রেকর্ড।
অথচ এতে কোনো জনসম্পৃক্ততা ছিল না; দলের সাধারণ নেতাকর্মীও তাতে অংশ নেননি। এমনকি ২০১৭ সালে কানাডীয় এক আদালতের রায়ে সহিংস তৎপরতার দায়ে বিএনপির সঙ্গে সন্ত্রাসী তকমা জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে ভুলের চূড়ায় পৌঁছায় বিএনপি। তখন জালিয়াতির অভিযোগ তুলে শেষ মুহূর্তে এসে তারা নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে।