সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যশোরের বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক, প্রবেশ মূল্য ২০টাকা

প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

যশোরের-বিনোদিয়া-ফ্যামিলি-পার্ক-প্রবেশ-মূল্য-২০টাকা

যশোরের-বিনোদিয়া-ফ্যামিলি-পার্ক-প্রবেশ-মূল্য-২০টাকা

দিন দিন পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যশোর বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক। এটি যশোর জেলা শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে যশোর ক্যান্টনমেন্টের শানতলায় অবস্থিত। লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফয়েজ আহমেদ ১৯৯৮ সালে বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক তৈরি করেন।

বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কে আছে, বিভিন্ন ধরণের রাইড, মিনি চিড়িয়াখানা, শিশু পার্ক, নদী, রবীনহুডের ঘর, কৃত্রিম ঝর্ণা। আরো আছে কনফারেন্স রুম এবং খাবারের ব্যবস্থা। পার্কটিতে পিকনিক, পূনর্মিলনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়। শুরুতে এই পার্কটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে প্রবেশের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়। বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক সাপ্তাহের সাতদিন সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।  বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কে বাস, মাইক্রো/জীপ এবং মটর বাইকের পার্কিংয়ের সুবিধা আছে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হয়।

যশোর বিনোদিয়া পার্কয়ে ঘুরে এসে শিলা খাতুন বলেন, ‘ওখানের পরিবেশ অনেক ভালো। ঘুরে ফিরে অনেক শান্তি আছে। ওখানে সব থেকে ভালো লাগে নৌকায় চড়ে ঘুরতে। পার্কের ভেতরে জেলেরা মাছ ধরে। সেখান থেকে তাজা মাছ কিনে আনা যায়। দামও তুলনামূলক কম।’ 

যেকোন প্রাপ্ত বয়স্ক দর্শনার্থীদের জন্য পার্কে প্রবেশমূল্য: ২০ টাকা।
ছোট বাচ্চাদের প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। 

স্পট ভাড়া করা যায় এক হাজার থেকে তিন হাজার পাঁচশো টাকায়। এছাড়া পূনর্মিলনীসহ যেকোন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতি ঘন্টার জন্য পার্কের ফি বাবদ পরিশোধ করতে হয় ৫০০ টাকা। 

কীভাবে যাবেন: বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে যশোর জেলা শহরের এসে রিক্সা অথবা ইজি বাইক নিয়ে পালবাড়ী মোড়ে যেতে হবে। পালবাড়ী মোড় থেকে ইজিবাইকে চড়ে বিনোদিয়া পার্কে যাওয়া যায়।

যেখানে থাকতে পারেন: রাতে থাকার জন্য যশোরে বেশকিছু সরকারি রেস্ট হাউস এবং আবাসিক হোটেল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে হাসান, মনিহার, নয়ন, চৌধুরী, গ্রান্ড হোটেল,মিডটাউন, মিডওয়ে এবং ম্যাগপাই উল্লেখযোগ্য।

যশোরের বিখ্যাত জামতলার মিষ্টি, খেজুরের গুড়ের প্যারা সন্দেশ ও ভিজা পিঠার সুনাম আছে। এছাড়া সময় সুযোগ থাকলে ধর্মতলার মালাই চা এবং চুক নগরের বিখ্যাত চুই ঝাল খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন না।