মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খালেদার কাল্পনিক জন্মদিন উদযাপন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি

প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২২ সোমবার

খালেদার-কাল্পনিক-জন্মদিন-উদযাপন-নিয়ে-দ্বন্দ্বে-বিএনপি

খালেদার-কাল্পনিক-জন্মদিন-উদযাপন-নিয়ে-দ্বন্দ্বে-বিএনপি

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে বিতর্কিত ও ব্যঙ্গ করে নব্বই দশকের পর থেকেই এই দিনে কাল্পনিক জন্মদিন উদযাপন করতেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। 

২০১৫ সাল পর্যন্ত এই দিবসে কেক কেটে কাল্পনিক জন্মদিন উদযাপন করলেও বিগত কয়েক বছর দেশের বিভিন্ন মহলের ধিক্কার ও সমালোচনার মুখে এ থেকে সরে আসেন খালেদা জিয়া। 

তবে চলতি বছরে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। তবে যার জন্মদিন, সেই খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার বিষয়টিও জানতে চায়নি ঐ দুই পক্ষ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে বিগত দুই বছর ধরে সরকারের অনুকম্পায় গুলশানের বাসায় আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। আর সরকারের এই মহানুভবতার ফলে ১৫ আগস্ট বিএনপি নেত্রীর কাল্পনিক জন্মদিন পালন করতে আগ্রহী নন খালেদা জিয়াপন্থী নেতারা। কিন্তু খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মতো পাকিস্তানপন্থী ও জামায়াত ঘেঁষা কিছু নেতা খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করার পক্ষে দলের অভ্যন্তরে জনমত গড়ার চেষ্টা করছেন। 

এদিকে বিষয়টি জানার পর মির্জা ফখরুল এসব অতিউৎসাহী নেতাদের খালেদা জিয়ার বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ জন্মদিন পালন না করার অনুরোধ করলেও ক্ষান্ত হননি। শেষ পর্যন্ত বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে ১২ আগস্ট স্কাইপিতে তারেক রহমানের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিষয়টি জানার পর বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বিএনপির দলীয় অবস্থান বিবেচনা করে তারেক রহমান ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় নিয়েছেন।

তবে যুক্তরাজ্যকেন্দ্রিক একাধিক সূত্র বলছে, যেহেতু অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় সরকারের বিশেষ মহানুভবতায় খালেদা জিয়া বর্তমানে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন, তাই সরকারকে আঘাত করে এমন কোনো কাজ করতে চান না তারেক রহমান। বরং ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন না করে ১৬ই আগস্ট দোয়া মাহফিল আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছেন তারেক।

এছাড়া ১৫ আগস্টের মতো জাতির শোকাবহ দিনে জনগণের বিপক্ষে গিয়ে খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে হই-হুল্লোড় এবং আলোচনা করতেও নিষেধ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।