বাংলাদেশিকে হত্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২২ রোববার
বাংলাদেশিকে-হত্যায়-দক্ষিণ-আফ্রিকার-নাগরিকে-১৫-বছরের-কারাদণ্ড
স্থানীয় সময় শুক্রবার ডারবানের কোয়াজুলু নাটালের একটি আদালত এ রায় দেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি হত্যা মামলার রায় দেওয়া হলো।
২০২১ সালের ৭ জুলাই শহীদুর রহমান ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হলে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার প্রায় ১৫ দিন পর শহীদুর রহমানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনায় শহীদুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিক বর্ডার এলাকা থেকে শহীদুর রহমানের গাড়ি উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কানকেনইয়েজি সেগাটলি নামে একজন কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সে জানায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো দুজন জড়িত ছিল।
শহীদুর রহমানকে হত্যার দায়ে শুক্রবার কানকেনইয়েজি সেগাটলি নামে সেই কৃষ্ণাঙ্গকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কোয়াজুলু নাটালের একটি আদালত।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে শহীদুর রহমানের বাড়ি। তিনি ২৫ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। শহীদুর রহমান ডারবানের অদূরে কাঠের ব্যবসা করতেন এবং সপরিবারে তিনি সেখানেই বসবাস করতেন। তার ২ সন্তান এবং স্ত্রী ডারবানে বসবাস করেন।
শহীদুর রহমানের স্ত্রী জানান, আমার ছেলেরা বাবার হত্যাকারীর সাজা দেখে কিছুটা হলেও দুঃখ ভুলতে পারবে। আমি সৌভাগ্যবান বলে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে স্বামী হত্যার বিচার পেয়েছি।