সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হবে

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২২ রোববার

যুক্তরাষ্ট্রে-গ্রিনকার্ড-পাওয়ার-আগেই-১৬-লাখ-অভিবাসনপ্রত্যাশীর-মৃত্যু-হবে

যুক্তরাষ্ট্রে-গ্রিনকার্ড-পাওয়ার-আগেই-১৬-লাখ-অভিবাসনপ্রত্যাশীর-মৃত্যু-হবে

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী (আবেদনকারী) মারা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি লসএঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনো দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগে নতুন গ্রিনকার্ডের জন্য পাহাড় সমান আবেদনপত্র জমা পড়ে আছে। 

চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গ্রিনকার্ডের জন্য ৮৬ লাখ বা ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। এসব আবেদনপত্রের এমন স্থির প্রক্রিয়া চলতে থাকলে গ্রিনকার্ড হাতে পাওয়ার আগেই ১.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী (আবেদনকারী) মারা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ৩০ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা, গ্রিনকার্ড ও নাগরিকত্বের আবেদন বেড়ে চলেছে। কিন্তু সে তুলনায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কাজের গতি ও জনবল বাড়েনি। এছাড়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক্যানদের ক্ষমতার মহড়ায় এ বিভাগের কাজকর্ম কয়েক বছর পরপরই ঝুলে পড়ে। 

এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইমিগ্রেশন বিরোধী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আমলে। কোভিড-১৯ ইমিগ্রেশনে জ্যাম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর আশার বাণী শোনালেও কাজের গতি বাড়েনি।

আত্মীয়স্বজনের জন্য কেউ ইমিগ্রেশন বা গ্রিনকার্ডের আবেদন করলে তা হাতে আসতে ২০ বছরও লেগে যায়। অপেক্ষায় থাকাবস্থায় অনেকেই মারা যান। 

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে ভাই-বোনদের জন্য আবেদনের অপেক্ষাকাল ১২-১৩ বছর দেখালেও লেগে যাচ্ছে ১৫-১৬ বছর। বিবাহিত সন্তানের জন্য আবেদন করে ১৫ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাবার দৃষ্টান্তও তৈরি হয়েছে। 

অনেকের সবকিছু রেডি থাকলেও ভিসার জন্য ইন্টারভিউ নিতে অনেক সময় নেয়া হচ্ছে। ইন্টারভিউয়ের তারিখ বারবার পরিবর্তন করে বছরেরও বেশি সময় পার করে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।