শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে করণীয়
প্রকাশিত : ০৯:৩৮ এএম, ১৪ আগস্ট ২০২২ রোববার
শিশুদের-স্মার্টফোন-আসক্তি-কমাতে-করণীয়
ট্যাব বা মোবাইলে ভিডিও দেখতে দেখতে খাওয়ানো বা অবাধ্য সন্তানকে বসিয়ে রাখতে স্মার্টফোন হাতে দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা আজকাল ঘটছে অহরহই। এতে শিশু দ্রুত আসক্ত হয়ে পড়ছে গ্যাজেটে। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন শিশুর মস্তিষ্কের যেমন ক্ষতি করছে, তেমনি গ্যাজেটের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের চোখ।
যেসব শিশু বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যেমন খেলাধুলা, দৌড় বা সাইকেল চালানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে, তারা মোবাইল বা ভিডিও গেমে আসক্ত হয় বেশি। এতে বাধাগ্রস্ত হয় তাদের নানা রকম দক্ষতার বিকাশ। পরে কোনো কিছুতে মনোনিবেশ এবং বাস্তব জীবনে কার্যকর যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষমতাও বিঘ্নিত হয়। পরিবার থেকে একটু সচেতন থাকলে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে করণীয়-
>>> মনে রাখবেন, বাড়ির খুব দরকারি যন্ত্রগুলোর মতো (ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি) মোবাইল ফোনও একটি অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস। এটা শিশুর খেলার সামগ্রী নয়। শিশুদের বুঝিয়ে বলুন টিভি বা মোবাইলের আসক্তির খারাপ দিকগুলো।
>>> শিশুদের একাকিত্ব দূর করার চেষ্টা করুন। নানা ধরনের অ্যাকটিভিটি প্ল্যান করুন। যেমন নাচ, গান, অবৃত্তি, বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখান। সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে মিশতে ও খেলতে দিন।
>>> শিশুদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারলে খুব ভালো। ছোটবেলা থেকে রোজ রাতে শোবার আগে সন্তানকে যদি বই থেকে গল্প পড়ে শোনান, তাহলে তার মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে।
>>> মাঝেমধ্যে তাদের নিয়ে খেলাধুলা করতে বা ঘুরতে যান। শৈশবকে উপভোগ্য করে তুলুন। যারা শহরে থাকেন, তারা সপ্তাহে এক দিন বা মাসে দুই দিন শিশুকে নিয়ে প্রকৃতির কাছে যেতে পারেন।
>>> ইন্টারনেটে কী ধরনের ভিডিও শিশুরা দেখছে, লক্ষ রাখুন।
>>> শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহার ও স্ক্রিন টাইমের সময় নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
>>> শিশুদের ঘরের কাজে দায়িত্ব দিন। সংসারের ছোট ছোট কাজে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করুন।
>>> শিশুকে খাওয়ানোর সময় বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে মোবাইল গেম, কার্টুন দেখানোর বা গ্যাজেটের অভ্যাস করবেন না। এ সময় গল্প শোনানোর অভ্যাস করুন।
>>> নিজেদের ব্যস্ততার জন্য সন্তানকে মোবাইল গেমে, ভিডিওতে আসক্ত করা অপরাধের শামিল। অনেক অভিভাবক নিজেও ফেসবুক বা টিভি সিরিয়াল, গেম বা গ্যাজেটে আসক্ত। সন্তানকে গুণগত সময় দিন।