নান্দনিক ‘সহস্রধারা ঝর্ণা’
প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার
নান্দনিক-সহস্রধারা-ঝর্ণা
সহস্রধারা ঝর্ণা যেন প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা অপরূপ এক ছবি। এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় যেকোনো ভ্রমণপিয়াসু মানুষ। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পেরিয়ে যখন ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে শরীর ভিজিয়ে নেন পর্যটকেরা, তখন পথের ক্লান্তি ধুয়ে যায়। ঝর্ণার কাছে এসে ভ্রমণপিয়াসুরা খুঁজে পায় জীবনস্রোতে ছুটে চলার নতুন প্রেরণা।
সহস্রধারা-২ ঝর্ণার অবস্থান: সহস্রধারা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের ছোট দারোগারহাট বাজারের কাছে সেচ প্রকল্পের ভিতরে এর অবস্থান। সীতাকুণ্ড ইকো-পার্কের ভেতরে সহস্রধারা-১ নামে আরো একটি ঝর্ণা থাকলেও মূল সহস্রধারা ঝর্ণা বলতে সহস্রধারা-২ ঝর্ণাকেই বোঝানো হয়।
সহস্রধারা-২ ঝর্ণায় কীভাবে যাবেন: সহস্রধারা ঝর্ণা যেতে হলে প্রথমে আসতে হবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। ঢাকা থেকে হানিফ, শ্যামলী, এস আলম, সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সোহাগ ইত্যাদি পরিবহন কোম্পানির বাস যায় চট্টগ্রামে। যেকোনো একটায় উঠে সীতাকুণ্ড বাজারে নেমে যাবেন। ভাড়া: নন-এসি ৪৬০ টাকা এসি ৮০০/১১০০ টাকা। তবে বাসের সুপারভাইজারকে আগে থেকে বলে রাখবেন আপনি সীতাকুণ্ড বাজারে নামবেন।
এছাড়াও বাস বা ট্রেনে ফেনী এসে সেখান থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো লোকাল বাসে উঠে চলে আসবেন সীতাকুণ্ড বাজারে ভাড়া ৫০ থেকে ৮০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকেও আসতে পারবেন সীতাকুণ্ডে। চট্টগ্রামের অলংকার মোড়, এ কে খান মোড়, কদমতলী থেকে ফেনীগামী বাসে আসতে পারেন সীতাকুণ্ড। ভাড়া পড়বে ৪০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা বা প্রাইভেটকার রিজার্ভ করে আসতে পারেন সিএনজি ভাড়া ২৫০/৩০০ টাকা।
সীতাকুণ্ড থেকে সহস্রধারা ঝর্ণা যাবেন কীভাবে: সীতাকুণ্ড বাজার থেকে অটোরিকশা সিএনজি ভাড়া করে চলে যাবেন সহস্রধারা ঝর্ণা। রিজার্ভ সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা। লোকাল হলে জন প্রতি ভাড়া গুনতে হবে ২০ টাকা। সহস্রধারা সেচ প্রকল্পের কাছে নেমে বাকিটা পথ হাঁটতে হবে। পায়ে হেঁটে সহস্রধারা লেক পর্যন্ত পৌঁছাতে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগবে।
লেকে এসে জনপ্রতি ২০ টাকা টিকেট ৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লেক পার হয়ে পৌঁছে যাবেন সহস্রধারা ঝর্ণায়। একই নৌকা আপনাকে আবার ফিরিয়ে আনবে। আসা যাওয়ার ভাড়া ৬০ টাকা। ফেরার পথে সহস্রধারা সেচ প্রকল্পের স্লুইচ গেটের সামনে এসে ছবি তুলতে পারেন। তবে লেক অনেক গভীর তাই সাঁতার না জানলে লেকের পানিতে নামা উচিত নয়।
সীতাকুণ্ডে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। সবগুলো মোটামুটি কাছাকাছি হওয়াতে একদিন বেশ কয়েকটা ঘুরে দেখা যায়। তবে একরাত আর দুই দিন সময় হাতে নিয়ে গেলে সবগুলো দেখে আসা সম্ভব। সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, চন্দ্রনাথ পাহাড়, নাপিত্তাছড়া ট্রাইল, নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা, কমলদহ ঝর্ণা, ঝরঝরি ঝর্ণা,বাঁশবাড়িয়া বীচ, গুলিয়াখালী বীচ, কুমিরা সন্দ্বীপ ফেরী ঘাট।