মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কান্না তিন প্রকার, উপকারিতা জানলে সারাদিনই কাঁদতে চাইবেন

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২২ সোমবার

কান্না-তিন-প্রকার-উপকারিতা-জানলে-সারাদিনই-কাঁদতে-চাইবেন

কান্না-তিন-প্রকার-উপকারিতা-জানলে-সারাদিনই-কাঁদতে-চাইবেন

কান্না স্বাস্থ্যের জন্য ভালো! হাসির যত বেশি উপকারিতা, কান্নারও তার চেয়ে কম নয়। শোকে কিংবা পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে; যেভাবেই কাঁদুন এটি বেশ উপকারি! আপনার সুস্থ চোখের জন্য চোখের পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এমনটাই বলছে নানা গবেষণা।

গবেষণা অনুযায়ী, এটি আপনার চোখকে আর্দ্র এবং মসৃণ রাখে। এটি সংক্রমণ এবং ময়লা থেকেও রক্ষা করে। চোখের জল আপনার চোখ পরিষ্কার রাখে এবং স্বাস্থ্যকর করে।

অশ্রু কেন বের হয়?

আমরা যখনই আবেগপ্রবণ হই, পেঁয়াজ কাটি বা চোখে কিছু চলে গেলেই পানি চলে আসে। এই পানি হলো চোখের ল্যাক্রিমাল নালী থেকে নির্গত তরল, যা জল এবং লবণের মিশ্রণে তৈরি হয়। এতে তেল, শ্লেষ্মা এবং এনজাইম নামক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা জীবাণুকে মেরে আমাদের চোখকে সুস্থ রাখে।

কান্না তিন প্রকার ও এর উপকার

মানুষের চোখ থেকে তিন ধরনের অশ্রু বের হয়-

বেসাল টিয়ার্স: চোখের পলক পড়লে এই অশ্রু বেরিয়ে আসে। এগুলো চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। এগুলি আবেগহীন কান্না।  রিফ্লেক্স টিয়ার্স: এগুলোও আবেগবিহীন কান্না। যা বাতাস থেকে আসে, ধোঁয়া, চোখে ধুলো পড়ে। আবেগের অশ্রু: দুঃখ, হতাশা, দুঃখের সময় যে অশ্রু বের হয় তা আবেগের অশ্রু।

নেদারল্যান্ডের একটি সমীক্ষা অনুসারে, কাঁদলে আপনি স্বস্তি অনুভব করেন এবং আপনার মেজাজ ভালো থাকে। চোখের জলে লাইসোজাইম নামে একটি তরল পাওয়া যায়, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি আমাদের চোখকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং চোখ পরিষ্কার করে। কান্না আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।

কান্না শরীরে অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে যা শারীরিক ও মানসিক ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। অশ্রু নির্গত হওয়ার কারণে চোখ শুকিয়ে যায় না এবং তাদের আর্দ্রতা অটুট থাকে যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। যখন একজন ব্যক্তি চোখের পলক ফেলে, তখন বেসাল টিয়ার নির্গত হয়, যা মস্তিষ্ককে শ্লেষ্মা শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।