মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপির ওয়ার্ড কাউন্সিল নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৫ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার

বিএনপির-ওয়ার্ড-কাউন্সিল-নিয়েও-বিতর্ক-তুঙ্গে

বিএনপির-ওয়ার্ড-কাউন্সিল-নিয়েও-বিতর্ক-তুঙ্গে

ভঙ্গুর বিএনপিতে ওয়ার্ড কাউন্সিল নিয়েও চলছে চরম বিতর্ক। অনিয়মের কাউন্সিলে সহায়তা না করার দাবিতে সম্প্রতি বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী দলের মহাসচিবের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। তবে মহাসচিব দেখা না করায় তারা ফিরে যান। এসব নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অধীনে ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে মির্জা ফখরুলের যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাননি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, মহাসচিব শারীরিকভাবে অসুস্থ, সেজন্য সম্মেলনে যাননি। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ওয়ার্ড কাউন্সিল নিয়ে নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্বে বিব্রত ফখরুল। তাই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই তিনি সম্মেলনে যোগ দেননি।

সাবেক ডেমরা ইউনিয়ন বিএনপির (বর্তমান ৭০ নম্বর ওয়ার্ড) সভাপতি আবদুল আশা শাহিন বলেন, আমরা ডেমরার ৫টি ওয়ার্ডের শতাধিক নেতাকর্মী উত্তরায় মহাসচিবের বাসার সামনে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলেও তিনি বের হননি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমরা ফিরে আসি। আমাদের অবস্থানের কারণেই হয়তো মহাসচিব সম্মেলনে যাননি।

তিনি আরো বলেন, সম্মেলনে বিএনপির ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। অনেক কর্মীকে কাউন্সিলর বানানো হয়নি। ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে অনেককেই কাউন্সিলর বানানো হয়েছে। এখন আমাদের দল থেকে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

বিএনপির এই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আমরা তখন তার পক্ষে কাজ করেছি। আবার উপ-নির্বাচনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তখন তার পক্ষে কাজ করেছি। আমরা সালাহ উদ্দিন আহমেদের পক্ষে কাজ করার কারণে সম্মেলনে আমাদের রাখা হয়নি। কারণ দীর্ঘদিন ধরে নবী উল্লাহ আর সালাহ উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ভঙ্গুর বিএনপি ওয়ার্ড কাউন্সিল করার সক্ষমতাও হারিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়নহীনতা ও গ্রুপিং সরাসরি প্রভাব ফেলেছে তৃণমূলেও। এমন অবস্থায় দলের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। এ থেকে বের হওয়ার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে।