মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হুংকার দিয়ে রাজপথে বিড়ালের ভূমিকায় বিএনপি

প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার

হুংকার-দিয়ে-রাজপথে-বিড়ালের-ভূমিকায়-বিএনপি

হুংকার-দিয়ে-রাজপথে-বিড়ালের-ভূমিকায়-বিএনপি

ঘরে বসে আন্দোলনের নামে ‘হুংকার’ দিলেও রাজপথে যেন বিড়ালের ভূমিকায় বিএনপি। বারবার দলটি ঘরোয়া সভা-সমাবেশ আর সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের হুমকি-ধামকি দিলেও দৃশ্যমান নেই কোনো তৎপরতা। উল্টো এমন ফাঁকা আওয়াজের কারণে মানুষের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে দলটি।

বিশ্বস্ত সূত্রমতে, পূর্বে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিলেও বর্তমান আন্দোলনের ইস্যুই জানা নেই অনেক নেতাকর্মীর। কিন্তু হাওয়ার উপরে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। যদিও এ ডাক শুধু হুংকারেই সীমাবদ্ধ।

সূত্র বলছে, দলীয়ভাবে ব্যর্থ হওয়ায় লজ্জা-হতাশায় সরকারের অনুকম্পা নিয়েই ২ বছর আগে কারাগার থেকে বের হন খালেদা। কিন্তু এতকিছুর পরও টনক নড়েনি বিএনপির। বরং সরকারের ধারাবাহিক সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দলটি নানাভাবে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। বসে নেই তাদের পেইড এজেন্টরাও। তারা বিভিন্ন মহলে ক্রমাগত নালিশ ও ভিত্তিহীন কথা বলে বেড়াচ্ছেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে মাঝে-মাঝে আন্দোলনের ডাক দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি মাঠের রাজনীতিতে ব্যর্থ ও মুখ থুবড়ে পড়া দল বিএনপি। তাদের নীতি-নির্ধারক মহলেও দেখা গেছে অনৈক্য। এ কারণে ঈদ আসে, ঈদ যায়। কিন্তু তাদের ‘ঈদের পরে আন্দোলন’ আর আলোর মুখ দেখে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা ঘটনায় নিজেদের আসল চরিত্র ‘থলের বিড়াল’ হয়ে বেরিয়ে আসছে বিএনপির। ফলে তাদের আর জনসম্পৃক্ততা নেই। দলে কোনো আন্দোলনও গড়ে উঠছে না। আলোচনায় থাকতে দলটির নেতারা এখন ‘হুংকার’কেই অদ্বিতীয় সম্বল মনে করছেন। তারা এর চর্চাও অব্যাহত রেখেছেন। এ থেকে সহজেই অনুমেয়, মুখে আন্দোলনের ফেনা তুললেও সাংগঠনিকভাবে আর কখনোই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বিএনপি।