রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৭ ১৪৩১   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প খুঁজছে বিএনপি

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২২ বুধবার

তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের-বিকল্প-খুঁজছে-বিএনপি

তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের-বিকল্প-খুঁজছে-বিএনপি

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিকল্প খুঁজছে বিএনপি।

বিএনপি বলছে, তাদের লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই নির্বাচিত হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে বিএনপি কিছু শর্তের বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন বৈঠকে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করছে।

বিএনপি ইচ্ছে করেই এখন রাজনীতিকে উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে। বিদ্যুৎ সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে নিয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি হাসিল করতে চায়। আর এ লক্ষ্যেই তারা আস্তে আস্তে রাজপথকে উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে।

বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বিএনপি অন্য মনোভাব দেখিয়েছে। বিএনপি বলেছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে তারা কিছু শর্তসাপেক্ষে সরে আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান।

বিএনপি বলছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি প্রধান বিকল্প হতে পারে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলের উপস্থিতি এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। নির্বাচনে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেনো, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করবে জাতিসংঘ।

সম্প্রতি জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।এ ব্যাপারে তারা একটি সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। 

বিএনপি নেতারা মনে করছে- যদি নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ তদারকি করে তাহলে নির্বাচনে কারচুপি করা সহজ হবে না। এ বাস্তবতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প হিসেবে এটিকেও একটি পথ বলে মনে করছে। এছাড়াও বিএনপি কার্যত ২০১৪ এর যে প্রস্তাব সে প্রস্তাবটিকে পুনঃউচ্চারণ করতে চাইছে।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সব দলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনকালীন সরকার। এ শর্তে তিনি বিএনপিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ারও প্রস্তাব করেছিলেন। এ জন্য তিনি খালেদা জিয়াকে চায়ের দাওয়াতও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে এবং বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, তখন এ সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। এখন বিএনপি বলছে, আন্তর্জাতিক তদারকির পাশাপাশি যদি নির্বাচনকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে বিএনপির অংশগ্রহণ থাকে তাহলে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসতে পারে।