রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৭ ১৪৩১   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গণঅধিকার পরিষদ ত্যাগের গুঞ্জন রেজা কিবরিয়ার

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২২ শনিবার

গণঅধিকার-পরিষদ-ত্যাগের-গুঞ্জন-রেজা-কিবরিয়ার

গণঅধিকার-পরিষদ-ত্যাগের-গুঞ্জন-রেজা-কিবরিয়ার

সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদে এক ধরনের বিদ্রোহ চলছে। বিশেষ করে প্রবাসীদের সংগঠনের টাকা-পয়সার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ বিরোধের প্রেক্ষাপটেই রেজা কিবরিয়া গণঅধিকার পরিষদ ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আমেরিকা থেকে দেশে এসে তিনি গণঅধিকার পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করবেন। রাজনীতি রেজা কিবরিয়ার বিষয় নয় বলেও তিনি তার ঘনিষ্ঠদেরকে বলেছেন। 

তবে কেউ কেউ মনে করছেন, রেজা কিবরিয়ার ব্যাপারে বিএনপির আগ্রহ রয়েছে এবং বিএনপির সঙ্গে তার যোগাযোগ হচ্ছে। এজন্যই গণঅধিকার পরিষদের ব্যাপারে তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক জীবনে অতীতে কোনো রাজনৈতিক ভালো কাজের নজির না রেখে রেজা কিবরিয়া যেভাবে একের পর এক দলবদল করছেন তাতে তার রাজনীতির সমাপ্তি রেখাই দৃশ্যমান হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরো মনে করেন, রেজা কিবরিয়ার রাজনীতিতে আসাটা হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে। তার কোনো রাজনৈতিক অতীত পরিচয় ছিল না। 

আরো পড়ুন> বিএনপির সরকার পতনের ঘোষণা পাগলের প্রলাপ: সেতুমন্ত্রী

২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগদান করেন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানার থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ঐ নির্বাচনে তিনি বিপুলভাবে পরাজিত হন। স্থানীয় এলাকাবাসীরা রেজা কিবরিয়াকে খুব একটা চেনেন না। উচ্চশিক্ষিত এ অর্থনীতিবিদ মূলত বিদেশেই লেখাপড়া করেছেন এবং একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত। রাজনীতির মাঠে তার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তাছাড়া শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মতো বিনয়ী হিসেবেও তিনি পরিচিত নন। 

২০১৮ সালের নির্বাচনের পর গণফোরামের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। ড. কামাল হোসেন রেজা কিবরিয়াকে গণফোরামের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন। এ নিয়ে গণফোরাম বিভক্ত হয়। এরপর রেজা কিবরিয়া গণফোরামের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন।

এ সময় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হলে রেজা কিবরিয়া সেখানে যোগ দেন। গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ছাত্রদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গণঅধিকার পরিষদে তিনি একজন অনাহুত, উদ্বাস্তু হিসেবেই বিবেচিত হতে থাকেন। তার মতামত না নিয়ে তাকে শুধুমাত্র সামনে রেখে নুররা বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে থাকেন। এটি নিয়ে নুরের সঙ্গে তার বিরোধও তৈরি হয়। এ বিরোধের একপর্যায়ে রেজা কিবরিয়া আমেরিকায় চলে যান। এখনো তিনি সেখানেই রয়েছেন।