পারিবারিকভাবে বিয়ের পর সম্পর্ক জমিয়ে ক্ষীর বানানোর দায়িত্ব কার?
প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ২৬ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার
পারিবারিকভাবে-বিয়ের-পর-সম্পর্ক-জমিয়ে-ক্ষীর-বানানোর-দায়িত্ব-কার
দাম্পত্য সম্পর্কে রোমান্টিকতার মূল্য অনেক বেশি। তবে একজন রোমান্টিক হলে আরেকজন নাও হতে পারে, এই পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়ার, শিখিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি চলে আসে। সময় নিন, একে অন্যের প্রিয় জিনিসগুলোর প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দিন-দেখবেন সম্পর্ক জমে ক্ষীর!
ঘুমের সময় নির্ধারণ করে নিন
এক জনের হয়তো রাত জাগার অভ্যাস আছে, আরেকজন রাত জাগতে অভ্যস্ত নন। সেক্ষেত্রে যার ঘুম দরকার তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন, যার রাতজাগা দরকার তিনি টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে কাজ সারলেন। এতে একজন আরেকজনের অসুবিধার কারণ হবেন না।
একে অন্যের অভ্যাসগুলো পর্যবেক্ষণ করুন
অভ্যাসগুলোকে পর্যবেক্ষণ করুন। বিয়ে করেছেন মানে আপনি আপনার জীবনের সঙ্গে আরেকজনকে জড়িয়েছেন। কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দুইজনেরই থাকতে হবে। আপনার কথা এবং কাজের ফলে তার করা প্রতিক্রিয়াগুলো খেয়াল করুন। তার পছন্দ-অপছন্দ, ভালোলাগা-খারাপলাগাগুলো জানার চেষ্টা করুন।অনেকেই ছোটখাট সমস্যার সম্মুখীন হন। এক্ষেত্রে একটু ধৈর্য, সহনশীলতা আর কিছু পন্থা অবলম্বণ করলেই অচেনা জীবনসঙ্গীকে আপন করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।
অপমান করবেন না
কোন বদ-অভ্যাস থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন, পরামর্শ দিনি। ধরুন আপনার সঙ্গীর নাক ডাকার সমস্যা আছে আপনার সঙ্গী কেন নাক ডাকে সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন। তারপর তাকে জানান যে তিনি ঘুমানোর পর নাক ডাকেন। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন, কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন। তিনি যদি ডাক্তারের কাছে যেতে রাজি না হন, সময় নিন। তাকে বোঝান যে, এটা একটা শারীরিক সমস্যা-এর চিকিৎসা হওয়া দরকার শারীরিকভাবে ভালো থাকার জন্যই।
খাবারের ক্ষেত্রেও মনোযোগ দিন
আপনার জীবনসঙ্গী কোনো একটি খাবার পছন্দ নাও করতে পারেন। এজন্য তাকে কথা শোনাবেন না। অনেকেই অনেক খাবার খান না, বাছবিচার করেন। আবার অনেকের বিশেষ কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকে। এক্ষেত্রে একে অপরের সুবিধা-অসুবিধা, পছন্দ-অপছন্দগুলো জানার চেষ্টা করুন। রান্না করার সময় তার পছন্দের দিকে খেয়াল রাখুন। বাজার করার আগে দুজনে আলোচনা করে নিন। আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। বাইরে খেতে গেলে অর্ডার দেবার আগে একে অপরের চাহিদা মাফিক খাবার অর্ডার করুন।
একান্তে সময় কাটান
কর্পোরেট এই যুগে দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাইরের কাজ করতে হয়। সময়ের অভাব সম্পর্ক গঠনে যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে নজর দিন। সময় পেলে বেড়াতে যান, সিনেমা দেখুন, গল্প করুন, আড্ডা দিন। গল্পের মধ্যেই তাকে আবিষ্কারের চেষ্টা করুন।
নবদম্পতিদের জীবনযাপনে সবকিছুই নতুন মনে হয়, অস্বস্তি ঠেকে সব কাজেই। ধীরে ধীরে পরস্পরের মধ্যে অভ্যস্ততা তৈরি হয়। সুতরাং সময় নিন ভালোবাসার জন্য , ভালো থাকার জন্য।