বিএনপির ছয় নগর কমিটিতে চরম অসন্তোষ
প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার
বিএনপির-ছয়-নগর-কমিটিতে-চরম-অসন্তোষ
জানা গেছে, আহ্বায়ক কমিটির সভায় কোনো আলোচনা বা মতামত ছাড়াইও আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এসব কমিটি গঠন করেছেন। এমনকি কমিটিগুলো অনুমোদনের ক্ষেত্রে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের স্বাক্ষরও নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, দলে কিছু বিভেদ থাকবেই। কিছু নেতাকর্মী সব সিদ্ধান্তেই দ্বিমত পোষণ করেন। কেন্দ্রীয় নানা কর্মসূচির কারণে পুরোপুরি সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সব নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই কাজ করেছি।
বিতর্ক উঠেছে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়েও। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পিএস পরিচয় দানকারী আবদুর রহমান সানির শ্বশুর রাজিউর রহমান রাজিবকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। এছাড়া রাজিবের এক ভাইকে যুগ্ম আহ্বায়ক, আরেক ভাইকে সদস্য করা হয়। অথচ তারা আগে বিএনপির কোনো পদে ছিলেন না। এমনকি অতীতের কোনো আন্দোলন-সংগ্রামেও তাদের দেখা যায়নি। এসব কারণে কমিটি ঘোষণার রাতেই আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমিরসহ ৪১ সদস্যের কমিটির অধিকাংশ নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে আমিরুজ্জামানকে বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে কমিটি দেওয়া হয়। এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ২৩ মার্চ।
জানা গেছে, ডা. শাহাদাত হোসেন যেন নতুন কমিটির সভাপতি হতে না পারেন সেই চেষ্টা করছে নগর বিএনপির একটি গ্রুপ। তারা থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক নেতা।
বিতর্ক আছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি নিয়েও। সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ৭১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিল ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কাজ করব।
এদিকে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ফরিদপুর মহানগর বিএনপিতে দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং চলছে। অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনও করেছে নতুন কমিটির একাংশ। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালকে বহিষ্কারের পর এ জেলার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।