অল্পতেই কাঁদেন যারা, তারা যে পাঁচ গুণের অধিকারী
প্রকাশিত : ১০:৩৮ এএম, ২১ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার
অল্পতেই-কাঁদেন-যারা-তারা-যে-পাঁচ-গুণের-অধিকারী
মনো বিশেষজ্ঞরা জানান, অল্পতে কেঁদে ফেলা মানুষগুলো পাঁচটি গুণের অধিকারী হোন। তাদের এই গুণের কারণে তারা সুস্থ থাকে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই পাঁচটি গুণের কথা-
>>> অল্পতে কেঁদে ফেলা মানুষের আবেগ তুলনামূলক অনেক বেশি হয়। তাদের ভেতরটা অন্যদের তুলনায় স্বচ্ছ থাকে। সহজেই নিজের ভেতরে কী চলছে তা প্রকাশ করে দেয় তারা। শুধু তাই নয় নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তারা অন্যের দরকারকে প্রাধান্য দেন। যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা অন্যের পাশে থেকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেন।
>>> অল্পতে কান্না করা মানুষগুলোর মন পরিস্কার হয়। তাই তারা বন্ধু হিসেবেও ভালো। নিজের মনের ভাব সহজেই বন্ধুদের প্রকাশ করে। বন্ধুর কথাগুলোর মনোযোগ দিয়ে শোনে। বন্ধুর দু:খে যেমন কাঁদে তেমনটি হাসিতেও বন্ধুকে আনন্দে রাখে।
>>> অল্পতে কান্না করা দুর্বলতা নয়। সমাজ তাকে নিয়ে অনেক খুঁনসুটি করে। তবে এসব মানুষ সমাজের পরোয়া করেন না। বরং তারা আত্মবিশ্বাসী হোন। তারা আবেগ প্রকাশে কখনো পিছ পা হোন না। সমাজের তোয়াক্কা না করেই তারা নিজের আবেগকে প্রকাশ করেন। এতে তাদের সহমর্মিতার প্রকাশ পায়।
>>> ডিজিটাল যুগে হাসিখুশি থাকা অনেকটা লোক দেখানো হয়ে গেছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কৃত্রিমভাবে সুখে থাকার চেষ্টা চলে। হাসিখুশিভাবে ছবি পোস্ট করা ফ্যাশন হয়ে যায়। তাই অন্যদের কাঁদতে দেখলেও তাদের হাসি পায়। অল্পতে কেঁদে ফেলা মানুষগুলো এমনটা হয় না। তারা অন্যের দু:খ দেখে কষ্ট পান। এমনকি কেঁদেও ফেলেন। লোকদেখানো কাজ তারা করেন না।
>>> অল্পতেই কেঁদে ফেলা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। তাদের জীবনে মানসিক চাপ কমে যায়। কান্না করে তারা যখন মনের ভাব প্রকাশ করেন তাদের মানসিক চাপ হালকা হয়ে যায়। বরং কান্না চেপে রাখলেই আরও মানসিক চাপ বাড়ে। যা থেকে নানা অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে।
সূত্র:মেডিসিননেট