দেখে আসতে পারেন চারশো বছর আগের জাহাপুর জমিদার বাড়ি
প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার
দেখে-আসতে-পারেন-চারশো-বছর-আগের-জাহাপুর-জমিদার-বাড়ি
বাড়ির সবগুলো ভবনেই বিভিন্ন ধরনের ফুলের নকশা রয়েছে। এমনকি জানালার গ্রীলগুলোতেও নকশা রয়েছে। জানা যায় বাড়িগুলোর নকশা তৈরি করতে ঢাকার বিক্রমপুরের মিস্ত্রিদের আনা হয়েছিল। ভবনগুলোর নকশাগুলো মুঘল রীতিতে তৈরি করা হয়েছে। ভবনগুলো ইংরেজি বর্ণ I এবং এল (L) টাইপে করা হয়েছে।
জমিদার বাড়ির প্রাপ্ত তথ্যূসূত্র থেকে জানা যায়, এ বাড়ির প্রথম পুরুষ শ্রী কানাই লাল রায়। তবে জমিদার হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায় নবম পুরুষ শ্রী গৌর মোহন রায়ের আমলে। জমিদার বংশধররা জমিদারি পাওয়ার আগে থেকেই অনেক অর্থ-সম্পদের মালিক ছিলেন। তারা মূলত ছিলেন পাট ব্যবসায়ী। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা পাটের ব্যবসা করতেন। এই জমিদার বাড়ির সকল জমিদারদের নাম জমিদার বাড়ির শ্মশানে তাদের সমাধিতে উল্লেখ আছে।
জমিদার বাড়িতে ঢুকতে বাড়ির প্রথম ফটকে দুইটি সিংহের মূর্তি রয়েছে। এই জমিদার বাড়িতে মোট ১০টি প্রাসাদ বা ভবন আছে। প্রথম ভবনটি তিনতলা আর সবগুলোই দুইতলা বিশিষ্ট। এর মধ্যে দুইটি ভবন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আর কয়েকটি লতাপাতায় জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। তবু কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই বাড়ি। জমিদার বাড়ির সর্বশেষ ভবনটি তৈরি করেন বর্তমান বংশধর প্রফেসর অঞ্জন কুমার রায়ের ও অধ্যক্ষ রঞ্জন কুমার রায়েরপিতামহ জমিদার শ্রী অশ্বীনি কুমার রায়। এছাড়াও তিনি এখানে এলাকার লোকজনের চিকিৎসার জন্য দাতব্য চিকিৎসালয়, জগন্নাথ দেবের রথ ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
একজন দর্শনার্থী এই জমিদার বাড়িতে দেখতে পাবেন জমিদারদের ব্যবহৃত সৌখিন খাট, নকশা করা চেয়ার, গাঁ এলিয়ে দেয়া ইজি চেয়ার, কারুকার্যখচিত ফুলদানী, ঝারবাতি, গ্রামোফোনসেহ আরও অনেক ধরনের আসবাবপত্র। এছাড়াও এখানে আছে রূপার হাতলের কারুকার্যখচিত ছাতা। যা জমিদাররা তাদের জমিদারি দেখার জন্য বাইরে বের হলে ব্যবহার করতেন।ৎ
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে মুরাদনগর এক্সপ্রেস/ ইলিয়টগঞ্জ এক্সপ্রেসে সরাসরি জাহাজপুর জমিদার বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
কুমিল্লা শহরে কুমিল্লা সিটি ক্লাব, হোটেল চন্দ্রিমা, হোটেল শালবনসহ বেশ কয়েকটি হোটেল আছে। এগুলোতে যে কোন একটিতে থাকতে পারেন। সম্ভাব্য খরব ১০০০টাকা থেকে ৩০০০টাকা।