রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৭ ১৪৩১   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিরুপায় খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২২ শুক্রবার

নিরুপায়-খালেদা-জিয়া

নিরুপায়-খালেদা-জিয়া

ছেলে তারেক রহমানের সীমাহীন দুর্নীতি ও বেপরোয়া জীবনযাপনের কারণে জীবনের অন্তিম মুহূর্তে এসেও নিরুপায় হয়ে পড়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তিনি এখন শুধুমাত্র নামেই বিএনপি চেয়ারপার্সন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপিতে যারা তারেকপন্থী হিসেবে পরিচিত, তারেকের একান্ত অনুগত এবং বিশ্বস্ত তাদেরই এখন জয়জয়কার। তারাই মূলত এখন বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

যারা তারেকপন্থী হিসেবে বিবেচিত নন এবং তারেকের আস্থাভাজন ব্যক্তি নন তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভূমিকাহীন। তাই এখন স্থায়ী কমিটি বা কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ে যারা তারেকপন্থী তারাই দলে গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির মহাসচিব এবং বাংলাদেশে তারেক রহমানের মুখপাত্র। তারেক যা বলেন, যেভাবে নির্দেশ দেন সেভাবে তিনি দল পরিচালনা করেন। আর এটি করতে গিয়ে দলে তিনি এখন ব্যাপক সমালোচিত। দলে সমালোচিত হলেও তারেকের আস্থাভাজন হওয়ার কারণে মির্জা ফখরুল ক্ষমতাবান এবং দলের স্থায়ী কমিটি বা কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরেও সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।

নজরুল ইসলাম খান বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য। বিএনপিতে তার ভূমিকা নিয়ে দলের মধ্যে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। তবে তিনি তারেকের একান্ত অনুগত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হাওয়ায় বিএনপিতে তার অবস্থান চিরসবুজ। মূলত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং নজরুল ইসলাম খানই স্থায়ী কমিটিতে তারেক জিয়ার দুই প্রতিনিধি। যারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখেন।

তারেকপন্থী রুমিন ফারহানা বিএনপিতে আলোর ঝলকানির মতো। মূলত তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় ও আশীর্বাদের রুমিন ফারহানা মহিলা কোটায় এমপি হয়েছেন। এখন তিনি বিএনপির হুইপও হয়েছেন। রুমিন ফারহানাকে বিএনপির অঘোষিত নীতিনির্ধারক মনে করা হয়। এটি মনে করার পেছনে প্রধান হলো তারেক জিয়ার আনুকূল্য। তারেকের কারণেই তিনি এখন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

সাদেক হোসেন খোকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার পর ঢাকা মহানগর বিএনপির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন মির্জা আব্বাস। কিন্তু মির্জা আব্বাসের কর্তৃত্ব আধিপত্য এখন বিলুপ্তপ্রায়। তার এখানে পুরো কর্তৃত্ব নিয়েছেন তারেক জিয়া ও ইশরাক হোসেন।

বার বার পরাজিত তাবিথ আউয়াল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে দুইবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। দুইবারই তিনি পরাজিত হন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনেও তিনি পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু তারেকের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এজন্য তিনি বিএনপিতে প্রভাবশালী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, আমাদের দলে তারেকপন্থীরা এখন ক্ষমতাবান। বিএনপিতে কি হচ্ছে বা না হচ্ছে তা কেন্দ্রীয় নেতারা না জানলেও তারেকপন্থীরা সবই জানেন। আমরা যারা খালেদা জিয়াকে দলীয়প্রধান হিসেবে মূল্যায়ন করি তাদের অবস্থান তলিয়ে গেছে। কারণ ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আর দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সবকিছু জানার পরও ছেলের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়া।