হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং: সন্তানের জন্য বিরক্তিকর
প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২২ বুধবার
হেলিকপ্টার-প্যারেন্টিং-সন্তানের-জন্য-বিরক্তিকর
ইংরেজিতে হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলে একটা শব্দ আছে, যার আক্ষরিক অনুবাদ করলে দাঁড়ায় সন্তানের ঘাড়ে সারাক্ষণ শ্বাস ফেলা বা তার পিছে লেগে থাকা। সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো মানেই কিন্তু তার স্কুল বা পড়াশোনা সংক্রান্ত আলোচনাও নয়। পড়ায় অসুবিধা হলে সাহায্য অবশ্যই করবেন, কিন্তু তার হোমওয়ার্ক নিয়ে সারাক্ষণ আপনি মাথাব্যথা করবেন না। বরং এই অবসরে সন্তানকে কিছু বাড়ির কাজ শেখান।
বিশেষ করে যাদের বয়স দশ বছর বয়সের বেশি, তারা স্বচ্ছন্দে রান্না, বাসন মাজা বা ঘর গোছানোর কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তাদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিন, গেম খেলুন, ভালো সিনেমা দেখুন। ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টনও খেলা যায়।
মনে রাখতে হবে, আপনি যা যা বলছেন, আপনার সন্তানের কাছে তার সবটা যুক্তিগ্রাহ্য বলে না-ও মনে হতে পারে। এতেই রেগে যাওয়ার কিছু নেই, মানুষের ব্যক্তিত্ব তৈরি হলে বরং তেমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। সন্তানের কথাটাও মন দিয়ে শুনতে হবে। দরকারে মেনেও নিতে হতে পারে। শিশু মানেই যে সে ভুল বলছে, তেমনটা না-ও হতে পারে।
নিজের না পাওয়া বা ব্যক্তিগত আক্ষেপের দায় সন্তানের ওপর চাপাবেন না। এতে ছোট্ট মানুষটির চিন্তার জগতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাকে তার কোনগুলি গুণ, তা বুঝিয়ে দিতে পারেন। দোষ করলে সেটাও বলুন খোলা মনে। নিজের কোনো দুর্বলতা থাকলে সেটাও স্বীকার করতে লজ্জা পাবেন না। এসব মেনে চললে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
কখনও অন্য কারো সঙ্গে সন্তানের তুলনা করবেন না। প্রতিটি শিশুই স্পেশাল। আপনার সন্তানের গুণগুলি খুঁজে বের করার ওপর জোর দিন। সবচেয়ে বড়ো কথা, বাচ্চাকে নিজের মতো খানিকটা সময় কাটানোর সুযোগ দিন।
মনোবিদদের পরামর্শ :
হাইপার ভিজিল্যান্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন না। খানিকটা সময় তাকে একেবারে নিজের মতো থাকতে দিতে হবে। সব সময় ঘাড়ে শ্বাস ফেললে শিশুরা কোনো কথাই শুনতে চায় না।
দৈনিক প্রভাতী/আরএস