বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব নতুন নয়
প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ১৩ জুলাই ২০২২ বুধবার
বিএনপির-রাজনৈতিক-দেউলিয়াত্ব-নতুন-নয়
এছাড়া সেই সময়ে জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচনী গোপন ছক কসতে গিয়ে সব ফাঁস হয়েছিল, যা সে সময় ‘উত্তরা কাণ্ড’ নামে পরিচিত ছিল। এসব কর্মকাণ্ড প্রকাশ হতেই বিএনপির জনপ্রিয়তা নিঃশেষ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, রাজনীতি ও দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কোনো আদর্শবান নেতা দেশকে ভয়ংকর অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারেন না। বিএনপি-জামায়াত জোট তাই করেছিল। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনে যাওয়ার সাহস তারা অনেক আগেই হারিয়েছিল। তাই সেই সময় থেকেই তারা রাজনৈতিক কুটকৌশল শুরু করে।
২০০৭ সালে বিশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বিএনপি। অল্প কয়েকদিনেই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির ইমেজ নামতে নামতে তলানিতে এসে ঠেকে। নেতা-নেত্রীদের সে সময়কার মাঠকাঁপানো বক্তৃতা তখন চরম মিথ্যাচার বলে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হয়।
বিএনপির সময় দুর্নীতিতে কয়েকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। দলের শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘদিনের লুটপাটের ফলশ্রুতিতেই এই কলঙ্ক দেশের গায়ে লাগে। দুর্নীতির দায়ে বিএনপির নেতারা সে সময় একে একে কারান্তরীণ হয়। দুদিন আগেও ধরাকে সরা জ্ঞান করতে অভ্যস্ত খালেদা জিয়াকে সে সময় একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রায় ‘অনুচর সহচর’ শূন্য অবস্থায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এ সময় স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি পেয়ে বসে খালেদা জিয়ার মধ্যে। পরিবারতন্ত্রের ছককে ভুলতে পারলেন না তিনি। ত্রিশঙ্কু অবস্থায় দাঁড়িয়ে একে একে ভুল করতে থাকলেন। কনিষ্ঠ ভ্রাতা সাঈদ এস্কান্দারকে বানিয়ে দিলেন দলের সহ-সভাপতি।
আর খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার আগ মুহূর্তে মান্নান ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে বহিষ্কার করলেন। মূলত নিজহাতেই দলকে বিভক্ত করলেন তিনি। আর সেই থেকেই বিএনপিতে বিভক্তি শুরু। এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি দলটি।