মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদ এলে খোলস পাল্টে ফেলেন বিএনপি নেতারা

প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ১১ জুলাই ২০২২ সোমবার

ঈদ-এলে-খোলস-পাল্টে-ফেলেন-বিএনপি-নেতারা

ঈদ-এলে-খোলস-পাল্টে-ফেলেন-বিএনপি-নেতারা

ঈদে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা গ্রামে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করলেও বিএনপিতে সেই চর্চা নেই। প্রতিবারের মতো এবারও দলের অধিকাংশ সিনিয়র নেতাই ঈদ পালন করেছেন রাজধানীতে। ফলে তৃণমূল নেতারা এবারো ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্য এবার ঢাকায় ঈদ করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার উত্তরার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।  স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমানও এবার ঢাকায় ঈদ উদযাপন করেছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শামসুজ্জামান দুদু ঢাকায় ঈদ করেছেন। দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাদের মধ্যে আমানুল্লাহ আমান ও আব্দুস সালাম ঢাকায় ঈদ করেন।

এছাড়াও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল এবং ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকায় ঈদ উদযাপন করেন।

তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, সারাবছর মুখে বিভিন্ন কথা বললেও ঈদ এলে খোলস পাল্টে ফেলেন বিএনপির নেতারা। সারাদেশের একাধিক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন দলের একাধিক কর্মী।

তাদের অভিযোগ, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা ঈদে গরিব-অসহায় কর্মীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন। অন্যদিকে ঈদ এলেই কর্মীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন বিএনপি নেতারা। মুখে তারা নীতিকথা বললেও বাস্তবে এর ধারেকাছে নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর বিএনপির একাধিক কর্মী বলেন, বিএনপির রাজনীতি করে একাধিক মামলার আসামি হয়েছি। কয়েকবার জেলও খেটেছি। বিনিময়ে দল থেকে কিছুই পাইনি। রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদ এলে অন্যান্য দলের নেতারা তাদের অসহায় কর্মীদের খোঁজখবর নেন। কিন্তু বিএনপিতে দেখা যায় এর বিপরীত চিত্র।

তিনি বলেন, সভা-সমাবেশে সুন্দর সুন্দর কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। কিন্তু সভা শেষে তাদের আর পাওয়া যায় না। এমনকি যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের রাজনীতি নিয়ে বিএনপির নেতারা ব্যস্ত। কর্মীরা দিনের পর দিন না খেয়ে থাকলেও তাদের কিছু আসে-যায় না। একাধিক মামলার আসামি হয়ে অনেক কর্মী জেলও খেটেছেন। কিন্তু বিপদে বা ঈদ আনন্দে তাদের খোঁজ-খবর রাখা হয় না। এটাই হলো বিএনপির রাজনীতি।