বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কোরবানি ঈদের সাজ যেমন হবে  

প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

কোরবানি-ঈদের-সাজ-যেমন-হবে- 

কোরবানি-ঈদের-সাজ-যেমন-হবে- 

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। যা কোরবানির ঈদ নামেও বেশ পরিচিত। রোজার ঈদের তুলনায় এই ঈদ একটু বেশি ব্যস্ততায় কাটে। যেহেতু এই দিনে পশু জবাহ করা হয়, তাই কাজের চাপটাও বেড়ে যায়। তাই বলে সাজের বিষয়টি কখনোই বাদ দেওয়া যায় না, যত যাই হোক ঈদ বলে কথা।

কোরবানি ঈদের সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সবাই মাংস কাটাকাটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এই ব্যস্ততার মাঝেই নিজেকেও পরিপাটি করে তুলতে হবে। তাই এই ঈদে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে নিজে পরিপাটি হয়ে তৈরি হতে হবে। যেহেতু দুপুর পর্যন্ত মাংস কাটা শুরু থেকে অনেক কাজ করতে হবে তাই একটি সুতি আরামদায়ক পোশাক পরে নিয়ে নিন।

তবে হ্যা, এই ঈদে বিকেলে নিজেকে ফ্রি রাখবেন। কেননা কোরবানি ঈদে বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় সময় পাওয়া যায় সাজ আর ঘোরাঘুরির জন্য। যেহেতু গরমের মধ্যে ঈদ উদযাপিত হবে, তাই সাজগোজের ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক কোরবানির ঈদে আপনার সাজ কেমন হবে-

সকাল বেলার সাজ

ঘুম থেকে উঠেই গোসল সেরে নেয়া ভালো, যেহেতু গরম থাকবে। মুখে ময়েশচারাইজার লাগিয়ে তার ওপর হালকা ভাবে কমপ্যাক্ট পাউডার বুলিয়ে নিতে হবে। তবে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা অয়েল প্রুফ লোশোন ব্যবহার করবেন, এতে কাজ করার সময় মুখ ঘেমে তেলতেলে হয়ে যাবে না এবং আপনার চেহারার সতেজতা বজায় থাকবে। এরপর চোখের উপরের এবং নিচের পাতায় ঘন করে কাজল দিন এবং সেটা যেন অবশ্যই ওয়াটার প্রুফ হয়। এবার ঠোঁটে হালকা কালারের লিপস্টিক লাগান।

চুল অবশ্যই বাঁধুন। চুল বড় হলে খোপা করতে পারেন অথবা পেছনে পাঞ্চ ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখতে পারেন। কপালের সামনে দিয়ে কাটা ব্যাঙ্গস, ফ্রেঞ্জ অথবা লেয়ারটি এ সময় ছেঁড়ে রাখবেন না। কারণ মাংস কাটার কাজ ও রান্নার কাজ রয়েছে।

সবশেষে কানে ছোট গোল্ড অথবা ইমিটেশনের স্টোন দেওয়া টপ পরতে পারেন। গৃহিণীরা হাতে চিকন গোল্ড প্লেটেড অথবা ইমিটেশনের চুড়ি পরতে পারেন। হয়ে গেল আপনার কোরবানির ঈদের সকাল বেলার সাজ।

বিকেলের সাজ

মেকাআপের সময় প্রথমে মুখ ক্লিনজিং মিল্ক অথবা স্ক্রাব দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লোশোন লাগিয়ে নিন। কয়েক মিনিট পরে কোনো ভালো মানের ম্যাট লিকুইড ফাউন্ডেশন লাগান। এর ওপর লুস পাউডার বুলিয়ে নিন।

চোখ সাজাতে গাঢ় নীল, কালো অথবা ব্রোঞ্জ এর মত শেড দিতে পারেন। একে একে ভ্রু আঁকুন, চোখের ওপরের এবং নিচের পাতায় কাজল ও মাস্কারা দিয়ে আপনার চোখের সাজ শেষ করুন। 

চেষ্টা করুন লিপস্টিক এবং ব্লাশনের রঙ কাছাকাছি রাখতে। ব্রাউন, পিচ অথবা পিঙ্ক হতে পারে আদর্শ চয়েজ। এ সময় চাইলে আপনি চুল খোলা রাখতে পারেন। গলায়, কানে এবং হাতে পরুন হালকা কোনো গহনা। বাইরে ঘুরাঘুরির বাছাই করে নিতে পারেন ইমিটেশনের গহনা। এ সময় খেয়াল রাখবেন আপনার পোশাক ও জুতা জোড়া যেন আরামদায়ক হয়।