সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৭ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

এবারও ঈদে তারেকের চাঁদা আতঙ্কে নেতারা

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ৬ জুলাই ২০২২ বুধবার

এবারও-ঈদে-তারেকের-চাঁদা-আতঙ্কে-নেতারা

এবারও-ঈদে-তারেকের-চাঁদা-আতঙ্কে-নেতারা

তিনদিন পর ঈদুল আজহা। আর ঈদে লন্ডনে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাঁদা আতঙ্কে রয়েছেন দলটির নেতারা। প্রতি বছর ঈদের আগে দলীয় নেতা ও দাতাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, চাঁদা তোলার জন্য তারেক রহমানের একদল প্রশিক্ষিত ক্যাডার রয়েছে। এ ক্যাডার বাহিনী নিত্যদিন চাঁদার জন্য চাপ দিচ্ছে বিএনপি নেতাদের। কিন্তু সংগঠন চালাতে গিয়ে দলের অনেক নেতারই অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। চক্ষুলজ্জায় তারা এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কিছু বলতেও পারছেন না আবার তারেকের চাঁদাবাজ বাহিনীর অত্যাচার সহ্যও করতে পারছেন না। এ কারণে বিএনপির অনেক নেতাই ‘ফোন বন্ধ’ করে রেখেছেন।

সূত্র বলছে, এবারও চাঁদার জন্য দলীয় নেতা ও দাতাদের কল দিতে শুরু করেছেন তারেক রহমান। আর চাঁদা তুলতে তাদের বারবার চাপ দিচ্ছে তারেকের ক্যাডাররা। নির্ধারিত অংকের চাঁদাই দিতে হচ্ছে নেতাদের। এরই মধ্যে অনেকে চাঁদা পাঠিয়েও দিয়েছেন। তবে অর্থনৈতিকভাবে বিপদে থাকায় চক্ষুলজ্জায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মির্জা আব্বাসদের মতো বিএনপির সিনিয়র নেতারা। নিজেদের ফোন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার তারেকের লিস্ট থেকে বাদ পড়েননি জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও। চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও সাতক্ষীরার একাধিক নেতা এরই মধ্যে তারেক রহমানকে নির্ধারিত অংকের চাঁদা পাঠিয়েছেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পাবনা বিএনপির এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারেকের কাছে রাজনীতি মানেই টাকা কামানোর মেশিন। এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে না। ব্যক্তি স্বার্থ ঠিক রাখতে নিজের দলের নেতাদের কাছ থেকে যে দল চাঁদা তোলে সেই দলের পরিণতি তো খারাপই হবে। দল ক্ষমতায় থাকলেও না হয় এসব অন্যায় মেনে নেয়া যায়। এক যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে প্রতি বছর দলের প্রধানকে বিভিন্ন বাহানায় টাকা দেওয়া খুবই কষ্টদায়ক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, তারেক রহমানের এমন চাঁদাবাজি নতুন কিছু নয়। করোনা মহামারির সময়ও তারেকের হাত থেকে নিস্তার পাননি দলের ব্যবসায়ী নেতারা। তাদের কাছ থেকে নেয়া চাঁদার টাকাতেই লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করেন তিনি।