সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৭ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে জনগণ এখন রসিকতা করে: হানিফ 

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ৫ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার

বিএনপির-আন্দোলন-নিয়ে-জনগণ-এখন-রসিকতা-করে-হানিফ 

বিএনপির-আন্দোলন-নিয়ে-জনগণ-এখন-রসিকতা-করে-হানিফ 

বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে জনগণ এখন রসিকতা করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে বন্যা কবলিত ১০টি জেলার অসহায় ও দুস্থ মানুষের শেখ হাসিনার পক্ষে থেকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও উপকমিটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে এ দেশের গণমানুষের দল। এ দেশের যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে আছে আওয়ামী লীগ। এ দেশের সুখে-দুঃখে আপদে-বিপদে যেকোনো দুর্যোগে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

১৯৭০ সালের ভয়াবহ বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ১৯৭০ সালের ভয়াবহ বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল, তখন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়নি, দাঁড়িয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 

বিএনপির মিথ্যাচারের কথা উল্লেখ করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারপরেও মিথ্যাচার করছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেনাবাহিনী বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দেশের জনগণ এখনো ভুলিনি উল্লেখ করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন আর জনগণের জন্য নয়, তাদের রাজনীতি এখন হুমকি-ধমকি আর মাস্তানির কথাবার্তা। গত ১৩ বছর ধরে তারা বলছে ঈদের পরে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাবে। কিন্তু এবার বলছে বন্যার পরে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে সরকার পতন ঘটানো হবে। বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনে জনগণ এখন রসিকতা করে।

আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন,  জাতীয় নির্বাচন আসতে এখনো দেড় বছর বাকি। সেই নির্বাচনের বিরুদ্ধে এখনই মিথ্যাচার শুরু করেছে বিএনপি। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী হবে। কারো হুমকি-ধমকিতে নির্বাচন হবে না। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কার্যনির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেংসহ অনেকেই।