সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৭ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নারী সাংবাদিককে প্রকাশ্যে চড় মারলেন জামায়াত নেতা

প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ৫ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার

নারী-সাংবাদিককে-প্রকাশ্যে-চড়-মারলেন-জামায়াত-নেতা

নারী-সাংবাদিককে-প্রকাশ্যে-চড়-মারলেন-জামায়াত-নেতা

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত) নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা নিয়ে সোমবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে নির্বাহী কমিটির সভায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঐদিন জামায়াত সমর্থিত সাংবাদিক ও ছাত্র শিবিরের কর্মীরা ব্যাপকভাবে অবস্থান নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ডিইউজের নির্বাহী সদস্য দৈনিক নওরোজের ফটোসাংবাদিক জেসমিন জুঁই  অভিযোগ করে বলেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। আমি শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ বলেছে, তদন্তের পর চাইলে মামলা হবে।

জানা গেছে, ডিইউজের গত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভুয়া সদস্যদের শনাক্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।

কিন্তু ঐ সিদ্ধান্তের ১৪ মাস পর কমিটি গঠন করা হয়, যা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এর মধ্যে ভূয়া সদস্য তালিকা নিয়ে (যাদের অধিকাংশ জামায়াত-শিবির কর্মী) নির্বাচন করার জন্য জামায়াতের অংশটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। জামায়াতের রোকন এবং সাংবাদিক শাখার নেতা ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ঐ দলের সদস্যরা দ্রুত ভোট করার উদ্যোগ নিলে বিএনপি সমর্থিত কর্মকর্তা ও সদস্যরা আপত্তি করেন। 

তারা বলেন, আগে ভুয়া সদস্যদের চিহ্নিত করে বাদ দিতে হবে। এই বিবাদের মধ্যে নির্বাহী কমিটির একাধিক সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবারের সভায় এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ক্লাব প্রাঙ্গণে সমবেত জামায়াত কর্মীরা হইচই শুরু করেন। এক পর্যায়ে নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে ভুয়া সদস্য শনাক্তের দাবি করলে সাধারণ সম্পাদক তাকে প্রকাশ্যে চড় মারেন। 

হট্টগোলের মধ্যে সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী (বিএনপির সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য) ঘোষণা করেন, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনী তফসিল দেওয়া হবে।

কিন্তু হঠাৎ দেখা যায়, নয়া দিগন্ত অনলাইন পোর্টালে খবর দেওয়া হয়, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঐ অসত্য সংবাদে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

নারী সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কাউকে আঘাত করিনি। আমার ওপরে হামলা করেছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।