ওজন কমানোর পর্বে যে তিন ভুল এড়িয়ে চলা জরুরি
প্রকাশিত : ১০:৩৮ এএম, ৫ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার
ওজন-কমানোর-পর্বে-যে-তিন-ভুল-এড়িয়ে-চলা-জরুরি
এর জন্য পরিশ্রমও কম করেন না। জিমে যাওয়া, পরিমাণ মতো খাওয়াদাওয়া করা, নিয়ম করে শরীরচর্চা, দৌড়ানো, হাঁটাচলা তো রয়েছেই। এছাড়াও দ্রুত রোগা হতে অনেকেই বেশ কিছু সহজ উপায়ও বেছে নেন।
ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই পর্বে অনেকেই ধৈর্য রাখতে পারেন। আবার তাড়াতাড়ি রোগা হতে অনেকে খুঁজে নেন চটজলদি কোনো উপায়। তাতে হয়তো ওজন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু এর প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যের উপর। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কম বয়সেই ত্বক বুড়িয়ে যায়।
তাই এসব সমস্যার সমাধানে ওজন কমানোর পর্বে তিন ভুল এড়িয়ে চলা জরুরি। সেগুলো কী? চলুন জেনে নেয়া যাক-
পর্যাপ্ত প্রোটিন না খাওয়া
অনেকেরই ধারণা প্রোটিন খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই রোগা হওয়ার পর্বে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখেন না। দীর্ঘদিন ধরে প্রোটিন না খাওয়ার ফলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। সুস্থ-সবল থাকতে প্রোটিন অপরিহার্য। প্রোটিনের অভাবে বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তাই রোগা হতে চাইলেও অল্প পরিমাণ প্রোটিন রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে।
কার্বোহাইড্রেট না খাওয়া
দ্রুত ওজন কমাতে রোজের খাদ্যতালিকায় অনেকেই ভাত, রুটির মতো পুষ্টিকর ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার রাখেন না। আর ভুলটা শুরু হয় এখান থেকেই। কার্বোহাইড্রেট শরীরের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। শরীর ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর। মেদ কমানোর প্রক্রিয়ায় কার্বোহাইড্রেট রাখা অত্যন্ত জরুরি। এতে ক্ষতির চেয়ে লাভ হয় বেশি।
ফ্যাট না খাওয়া
অনেকেরই অজানা যে ফ্যাট আসলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে সেটা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হতে হবে। বাইরের ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার, প্যাকেটজাত খাবার যে ফ্যাট থাকে সেগুলো অস্বাস্থ্যকর। রোগা হতে চাইলে ওই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। তবে স্বাস্থ্যবান্ধব ফ্যাটও আছে। অ্যাভোকাডো, বাদাম, অলিভ অয়েল, বিভিন্ন ধরনের শস্যতে যে ফ্যাট আছে, সেগুলো অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। মেদ ঝরিয়ে রোগা হতে এই ধরনের খাবার বেশি করে খান।