তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইউটিউবার হওয়ার ঝোঁক বাড়ছে কেন?
প্রকাশিত : ০১:৩৮ পিএম, ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার
তরুণ-প্রজন্মের-মধ্যে-ইউটিউবার-হওয়ার-ঝোঁক-বাড়ছে-কেন
এখন অনেকেই অন্য পেশা ছেড়ে ইউটিউবার হতে চান। নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেন। সেখানেই বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। যারা ইউটিউবের নিয়মিত দর্শক, এই ধরনের বিনোদন পেতে নিজেদের সেই চ্যানেলের সদস্য করে নেন। চ্যানেলের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি মাসে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে। অর্থাৎ ‘সাবস্ক্রাইবার’ বেশি হলে ইউটিউব সংস্থাও সংশ্লিষ্ট চ্যানেলটিকে বেশি টাকা দেয়।
টেলিভিশনের জনপ্রিয়তাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ইউটিউব। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টেলিভিশনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এমনকি, প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় যারা ফুটে ওঠেন, তাদের অনেকেই এক-একটি করে ইউটিউব চ্যানেল চালান। নিজেদের জীবনের রোজনামচা ইউটিউব চ্যানেলের দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।
দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে এবং আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হতে এই প্রজন্মের অনেকেই তাই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ইউটিউব। ঝাঁপ দিচ্ছেন অনিশ্চিতের দিকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিসেরই ভালো এবং খারাপ, দু’টি দিক আছে। ইউটিউবার হতে চাওয়ার ইচ্ছা খারাপ নয়। কিন্তু তার উপরেই যেন জীবন নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে। বিকল্প কোনো ভাবনা ভেবে রাখা জরুরি। কিংবা অন্য কোনো কাজ করার পাশাপাশি, এটি করা যেতে পারে। তাতে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নেটমাধ্যমে প্রভাবী (ইনফ্লুয়েন্সার) হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তরুণ প্রজন্মের অনেকেই। প্রচুর পরিশ্রমও দরকার হয়। দশর্কের পছন্দ বুঝে সেই মতো অনুষ্ঠান তাদের সামনে নিয়ে আসে একেবারেই সহজসাধ্য নয়। সেই সঙ্গে তো রয়েছে পারস্পরিক প্রতিযোগিতা। এর ফলে মাঝেমাঝেই শিল্পের মান কিছুটা হলেও কমে যায়। তাছাড়া সাফল্য-ব্যর্থতা তো লেগেই আছে।
সমীক্ষা বলছে, ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সিদের মধ্যে ইউটিউবকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম সময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা এবং অর্থ— এই দুইয়ের কারণেই মূলত এই পেশার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রতিযোগিতা ও মানসিক চাপ। এর প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত জীবনেও। তাদের মতে, ইউটিউবকে আয়ের একমাত্র উৎস হিসেবে না দেখে নিজেদের শিল্পী সত্ত্বা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখাই শ্রেয়।