নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছে সরকার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৩ জুলাই ২০২২ রোববার
নারীর-ক্ষমতায়ন-নিশ্চিত-করেছে-সরকার-আইসিটি-প্রতিমন্ত্রী
রোববার স্থানীয় অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে যুব মহিলা লীগ নাটোর জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল। নাটোর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আঞ্জুমান আরা পপির সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- নাটোর-২ আসনের এমপি মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের এমপি মো. শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রত্না আহমেদ ও নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৫০ জনে উন্নীত করেছেন। নারীদের সম্মান, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী সব সনদপত্রে পিতার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম সংযোজনের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এ প্ল্যাটফর্ম নারীদের কর্মসংস্থান ও তাদের উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। সারাদেশে সাড়ে আট হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করে ১ কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে অনায়াসে দুর্নীতিমুক্ত নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এসব ডিজিটাল সেন্টারে একজন নারী উদ্যোক্তা কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ই-কমার্সে তিন লাখ নারী উদ্যোক্তা কাজ করছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে নারীদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য অচিরেই সারাদেশের দুই হাজার নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ‘হার পাওয়ার’ নামে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে নারী উদ্যোক্তারা তাদের শক্তি, মেধা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, কল-সেন্টার এজেন্ট ও মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হবে।