ব্যর্থতার লজ্জায় আন্দোলনের নাম নিচ্ছে না বিএনপি
প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ২৫ জুন ২০২২ শনিবার
ব্যর্থতার-লজ্জায়-আন্দোলনের-নাম-নিচ্ছে-না-বিএনপি
সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতরের আগে বিএনপি বলেছিল- ঈদের পর চূড়ান্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে দাঁড়াবে। কিন্তু ঈদুল ফিতর চলে যাওয়ার পর ঈদুল আযহা চলে এসেছে। বিএনপির আন্দোলনের দেখা নেই। আসলে বিএনপির নেতাদের মুখে ‘ঈদের পর আন্দোলন’ বাক্যটি দেশের মানুষের কাছে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, নানা কারণে আন্দোলন করা হচ্ছে না। সর্বাত্মক আন্দোলন থেকেও পিছু হটতে হচ্ছে। মির্জা আব্বাস ঈদুল ফিতরের আগে বলেছিলেন, আন্দোলন কাকে বলে, কত প্রকার, কি কি, সেটি ঈদের পরে দেখানো হবে। এমন আন্দোলন করা হবে যে সরকার দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু রহস্যময় কারণে আন্দোলনের কোনো সম্ভাবনাই দেখছি না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছিলেন, শক্তিশালী বিরোধী দল কাকে বলে সেটি প্রধানমন্ত্রী টের পাবেন। কিন্তু ঈদুল ফিতরের পর প্রায় দুই মাস গড়াতে চললো, তবুও আন্দোলনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং ঈদের আগেও কিছু কিছু আন্দোলনের চেষ্টা করা হয়েছিল, তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এর বদলে দলীয় কোন্দলই বেশি দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতির কারণে আন্দোলন থেকে পিছু হটতে হয়েছে।
বন্যা তো মাত্র ১০ দিন হয়েছে, এর আগে আন্দোলনের কি উদ্যোগ নিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
বিএনপি নেতারা স্বীকার করছেন যে, সর্বাত্মক আন্দোলন করতে যে সাংগঠনিক শক্তি লাগে, জনসমর্থন লাগে সেগুলো তাদের নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পদ্মাসেতুর সফলতার পর বিএনপি আন্দোলন করতে ভয় পাচ্ছে। কারণ দল-মত নির্বিশেষে সবাই মনে করছে, পদ্মাসেতু বাঙালির একটি অন্যতম সেরা অর্জন। আর সেটি আওয়ামী লীগ সরকার অর্জন করেছে। এ মুহূর্তে বিএনপি আন্দোলন করলে সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে।
তারা আরো বলছেন, ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন শুনলে মানুষ হাসে। এখন এটি ট্রল হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই বিএনপির জনসমর্থন ও সংগঠনকে সুশৃঙ্খলসহ জনস্বার্থে কাজ করা উচিত।