বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছোট থেকেই সন্তানকে রপ্ত করান সাত গুণ

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ২৩ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

ছোট-থেকেই-সন্তানকে-রপ্ত-করান-সাত-গুণ

ছোট-থেকেই-সন্তানকে-রপ্ত-করান-সাত-গুণ

বাংলায় অনেক সময়েই গুরুজনদের বলতে শোনা যায়, মানুষের মতো মানুষ হও। ছোটবেলায় কোনো শিশু যদি যথাযথ শিক্ষা পায়, তবে অনেকটাই সহজ হয় এই মানুষের মতো মানুষ হওয়ার পথ।

ভালো মানুষ হিসেবে সন্তানকে বড় করতে চাইলে শৈশবেই কিছু কিছু গুণ রপ্ত করাতে হবে সন্তানকে। সেগুলো কী? চলুন জেনে নেয়া যাক- 

সহযোগিতা

সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মতো গুণ ছোটবেলা থেকেই তৈরি হওয়া বাঞ্ছনীয়। এগুলো এমন অপরিহার্য মানবিক বৈশিষ্ট্য যা সমাজকে সম্প্রীতির দিকে চালিত করে। সহযোগিতা ও সহমর্মিতা ছাড়া কোনো মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে বাঁচতে পারে না।

ভাগ করে নিতে শেখা

মানুষ সামাজিক জীব। সন্তানকে শেখান, সমাজের এক জন সদস্য হিসেবে যে যে জিনিসগুলো সবার প্রাপ্য, তা বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করে নেয়া উচিত। এতে শিশুমনে দ্বেষ ও লোভ জন্ম নিতে পারে না।

শুনতে শেখা

শিশুকে শেখান যে কথা বলা এবং মতামত প্রকাশ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই অন্যরা যা বলছে তা শোনাও গুরুত্বপূর্ণ। ছোট থেকে অন্যের মতামত ও ভাবনার স্বাধীনতাকে সম্মান করতে শেখা, ভাল মানুষ হয়ে ওঠার জন্য খুবই জরুরি।

সামাজিকতা

শিশুদের শেখানো দরকার কী ভাবে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। অন্যের কথার মাঝে বাধা না দেওয়া এবং অন্যের মতামতকে সম্মান করতে শেখাতে হবে ছোট থেকেই।

চাপ সামলাতে শেখা

ছোট থেকেই সন্তানকে শেখাতে হবে, সুখ ও দুঃখ হাত ধরাধরি করেই চলে। কোনও জিনিস মনকে ভারাক্রান্ত করলেও, নিজেকে শান্ত রাখা এবং চাপে কাবু না হয়ে পড়লে তবেই সেই চাপ অতিক্রম করা যায়।

একে অপরকে অনুপ্রাণিত করা

অনুপ্রেরণা শুধু নিজের নয়, অন্যদের জন্যেও জরুরি, এই কথা শিশুদের ছোট থেকেই শেখানো জরুরি। ছোট থেকেই এই শিক্ষা পেলে কঠিন সময়ে ভেঙে পড়বে না সন্তান।

অন্যদের নিয়ে মজা না করা

সবাই নিজের মতো করে সুন্দর। অনেক সময় ছোটরা না বুঝেই সহপাঠীর কোনও দুর্বলতার জায়গায় আঘাত করে ফেলে। তাই সন্তানকে শেখাতে হবে, যে যখন যাই বলুক না কেন, কারও সম্পর্কে কখনও কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা উচিত নয়।