বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গবেষণা: আপনার আয়ু আর কত দিন জানান দেবে এই ব্যায়াম

প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ২২ জুন ২০২২ বুধবার

গবেষণা-আপনার-আয়ু-আর-কত-দিন-জানান-দেবে-এই-ব্যায়াম

গবেষণা-আপনার-আয়ু-আর-কত-দিন-জানান-দেবে-এই-ব্যায়াম

এক পায়ে ভর দিয়ে সোজা দাঁড়াতে পারছেন না? হতে পারে এ বিপদের ইঙ্গিত। গবেষণা বলছে, মধ্যবয়সি এবং বয়স্করা যদি এক পায়ে ভর দিয়ে ১০ সেকেন্ডও সোজা দাঁড়াতে না পারেন, তাহলে আগামী ১০ বছরে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে দ্বিগুণ!

শরীরের ভারসাম্য কতটা সামলাতে পারছেন, তার উপর নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য। এর আগেও দেখা গিয়েছে, শরীরে ব্যালান্স হারিয়ে ফেলার সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকির একটি যোগ রয়েছে। আরো গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা ঠিক মতো শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেন না, তাদের মস্তিষ্কেরও তাড়াতাড়ি ক্ষতি হয়। তাই ডিমেনশিয়ার পূর্ব লক্ষণ হিসেবে শরীরের ব্যালান্স কেমন, তা-ও ধরা হয়।

ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, আমেরিকা ও ফিনল্যান্ডের গবেষকদের এক আন্তর্জাতিক দল এবার ১২ জনের উপর একটি গবেষণা চালায়। তাদের লক্ষ্য ছিল শরীরের ভারসাম্যের সঙ্গে আয়ুর যোগ খুঁজে বের করা। তবে এই গবেষণার ফল মূলত পর্যবেক্ষণের উপর দাঁড়িয়ে। কোনো বিজ্ঞানসম্মত কারণ এখনো পাওয়া না গেলেও গবেষণার ফল যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর! এই গবেষণাতেই দেখা গিয়েছে যারা ১০ সেকেন্ডও এক পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না, তাদের প্রত্যেকেরই তার পরবর্তী ১০ বছরে মৃত্যু হয়। ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’ পত্রিকায় এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ পায়।

এই গবেষণা দলের প্রধান, চিকিৎসক ক্লদিয়ো গিল আরাউজো এই গবেষণার ভিত্তিতে জানিয়েছেন, বয়স্কদের স্বাস্থ্যপরীক্ষায় একটি ভারসাম্যের পরীক্ষা যোগ করাটা আবশ্যক। সাধারণত এই ধরনের পরীক্ষা করে দেখার চল নেই। মূলত কোনো নির্দিষ্ট পরীক্ষা এতদিন না থাকায় ব্যালান্স নিয়ে সেভাবে কেউ মাথা ঘামাননি। কিন্তু ক্লডিয়োর মতে, ষাটোর্ধ্বদের জন্য এই ধরনের পরীক্ষা করানোটা জরুরি।

২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭০২ ব্যক্তির উপর এই গবেষণা চালানো হয়। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫১ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে ছিল এবং আপাত ভাবে তারা প্রত্যেকেই সুস্থ ছিলেন। কোনো বাড়তি সাহায্য ছাড়া তাদের সবাইকে ১০ সেকেন্ডের জন্য এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। হাত দু’পাশে রেখে দৃষ্টি সামনের দিকে স্থির করে দাঁড়াতে বলা হয়। দু’পায়েই তিন বার করে চেষ্টা করার সুযোগ ছিল। তাদের মধ্যে ২১ শতাংশ এই পরীক্ষা পাশ করতে পারেননি এবং তার ১০ বছরের মধ্যে ১২৩ জন কোনো না কোনো কারণে মারা যান।

তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই গবেষণার কিছু সমস্যাও ছিল। যেমন যাদের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়, তারা প্রত্যেকেই ব্রাজিলের শ্বেতাঙ্গ। তাই বৃহত্তর ক্ষেত্রে একই রকম ফলাফল হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।