বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সহকর্মীর প্রেমে পড়েছেন? খেয়াল রাখুন কিছু বিষয় 

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ এএম, ২২ জুন ২০২২ বুধবার

সহকর্মীর-প্রেমে-পড়েছেন-খেয়াল-রাখুন-কিছু-বিষয় 

সহকর্মীর-প্রেমে-পড়েছেন-খেয়াল-রাখুন-কিছু-বিষয় 

আজকাল ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সবাই সমান। মেয়েরা অফিস আদালতের কাজও সামলাচ্ছেন, আবার ঘরের কাজও। দুই দিকেই সমান তালে তাল মিলিয়ে চলছেন মেয়েরা। বেশিরভাগ মেয়েরাই এখন কর্মজীবী। 

একজন কর্মজীবী মেয়ের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে অফিসে। এইটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সেখানে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কারো প্রতি ভালোলাগা বা ভালোবাসা তৈরি হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ দীর্ঘ সময় চোখের সামনে কাউকে দেখলে তার অনেক বিষয়েই জানা হয়ে যায়। প্রথমে হয়তো বন্ধুত্ব, সেখান থেকে প্রেম হতেই পারে। এই একই জিনিস একজন ছেলের ক্ষেত্রেও হতে পারে। তারও অফিসের কোনো মেয়ে সহকর্মীকে ভালো লাগতে পারে। যা থেকে দুজনের মধ্যে প্রেম হতে পারে।  

কোনো সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে তা অন্য সহকর্মীদের কাছে গসিপের বিষয় হয়ে উঠতে পারে। অফিসে আপনাদের নিয়ে কানাঘুষা চললে তার প্রভাব পড়বে ব্যক্তিগত জীবনেও। তাই কোনো সহকর্মীর প্রেমে পড়লে এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করার সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আপনার ব্যক্তিগত কোনোকিছুর প্রভাব অফিসে পড়তে দেওয়া ঠিক হবে না। অফিসে নিজের অবস্থান ঠিক করতে হবে। সেইসঙ্গে সম্পর্কের প্রতিও থাকতে হবে যত্নশীল। দুটি একসঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। জেনে নিন সহকর্মীর প্রেমে পড়লে কী করবেন-

প্রথমেই সবাইকে জানাবেন না

কোনো সহকর্মীকে আপনার কেবলই ভালোলাগতে শুরু করেছে, এটি প্রেম নাকি নয় তা হয়তো আপনি বুঝতে পারছেন না। নিজের অনুভূতি নিয়ে নিজেই সন্দিহান। এমন অবস্থা সবাইকে একথা জানানোর প্রয়োজন নেই। প্রথমে সময় নিন। নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করুন। সহকর্মীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা আসলে কোন ধরনের, সেটি বুঝুন। আপনার প্রতিও তার একই অনুভূতি কি না, তা জানুন। সম্পর্কটি নিয়ে আপনাদের উভয়ের আত্মবিশ্বাস থাকলে তবেই তা প্রকাশ্যে আনুন।

অফিসে প্রেম। কর্ম ও ব্যক্তিজীবন আলাদা রাখুন

সম্পর্কে জড়ালে সেখানে প্রাপ্তি, প্রত্যাশা, রাগ, অভিমানসহ আরো অনেক অনুভূতি জমা হবে। এই ভালো তো এই খারাপ। ঝগড়া তো হবেই, আবার মিলও হবে। এগুলো আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু এর কোনো ধরনের প্রভাব আপনার কর্মজীবনে পড়তে দেবেন না। যার যার ডেস্ক সুষ্ঠুভাবে সামলাতে হবে। সেইসঙ্গে অফিসে অনুভূতির লেনদেনও বন্ধ রাখতে হবে। একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকা, হাত ধরা কিংবা ঘনিষ্ঠ হয়ে বসা যাবে না। কারণ এ ধরনের ঘনিষ্ঠতা সবার নজরে আসবে এবং অফিসের পরিবেশের সঙ্গেও খাপ খায় না। 

কমিউনিকেট করুন সঠিকভাবে

অফিসে থাকাকালীন একজন সহকর্মীর মতোই আচরণ করুন। ব্যক্তিগত আলোচনা বন্ধ রাখুন। অফিসের ফোন কিংবা মেইল ব্যবহার করে ব্যক্তিগত কথাবার্তা বলবেন না। কারণ আপনার অজান্তেই সেসব মেইল অফিসের তরফে ট্র্যাক হতে পারে। এছাড়া অফিসের রিসোর্স আপনার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য নয়। নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল থাকুন।

সহকর্মীদের কাছে ব্যক্তিগত কথা নয়

আপনাদের দুজনের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে তা অন্যান্য সহকর্মীদের বলবেন না। সমস্যা সব সম্পর্কেই কম-বেশি থাকতে পারে। কিন্তু তা সবাইকে জানিয়ে বেড়ানো ঠিক নয়। কেবল কাছের মানুষদেরই বলা যায়। তাই আপনার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কোনো সমস্যা হলে তা সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার ব্যক্তিগত জীবন তাদের সামনে তুলে আপনি তাদের গসিপের বিষয় হয়ে উঠবেন।

সম্পর্ক ভালোভাবে না চললে

প্রেমের সম্পর্ক শুরুর আগে ভালোভাবে ভেবে নিন। কারণ সম্পর্কটি ঠিকভাবে না এগোলে পরবর্তীতে আর আগের মতো সব ঠিকভাবে চলবে না। কোনো কারণে ব্রেকআপ হয়ে গেলেও প্রতিদিন পরস্পরের মুখ দেখতে হবে। যদি সমস্যা লেগেই থাকে এবং কোনোভাবেই মানিয়ে নেয়া না যায় তবে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসাই উত্তম। তবে ব্রেকআপের পর তার প্রভাব অফিসে পড়তে দেবেন না।