বৃষ্টি দিনের খাবার
প্রকাশিত : ০১:৩৮ পিএম, ১৮ জুন ২০২২ শনিবার
বৃষ্টি-দিনের-খাবার
তাহলে জেনে নেওয়া যাক এমন বৃষ্টির দিনে কী খাবেন।
খিচুড়ি: বৃষ্টি আর খিচুড়ি যেন একে অন্যের পরিপূরক হয়ে দশকের পর দশক বাঙালির বৃষ্টি বিলাসের খাদ্য তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। সঙ্গে যদি থাকে ইলিশ ভাজা, বেগুন ভাজা তাহলে তৃপ্তির ঢেঁকুরটা ভালোই হয়। তা না হলে ডিম ভাজাও কিন্তু দারুণ মজা খিচুড়ির সঙ্গে।
চা: গরম চা—বৃষ্টির দিনের এক অতুলনীয় অনুসঙ্গ। সঙ্গে পেঁয়াজ-মরিচ-চানাচুর-সরিষা তেল দিয়ে মুড়ি মাখা হলে কিন্তু বৃষ্টির বিকেল বা সন্ধ্যাটা বেশ জমে ওঠে। চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে রাখে চনমনে। কালোজিরা, আদা, গোলমরিচ এবং রসুনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। রোগ-জীবাণু থেকে দূরে থাকতে পান করতে পারেন হার্বাল টি।
স্যুপ: বৃষ্টির দিনের আবহাওয়াতে উষ্ণতা জোগাতে খেতে পারেন স্যুপ। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন চিকেন, মাশরুম, ডিম ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন স্যুপ।
পপকর্ন: বৃষ্টির দিনে মুভি দেখতে দেখতে পপকর্ন খাওয়ার মজাই আলাদা। বিকেল বা সন্ধ্যার আড্ডায় পপকর্ন বেছে নিলে মোটেও ভুল করবেন না, এ কথা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। সাধারণত, ভুট্টা থেকে তৈরি হয় পপকর্ন। এই শস্যে আঁশ বা ফাইবারের পরিমাণ যেমন বিশি তেমনি আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।
নুডলস: বৃষ্টির দিনে ঝটপট রান্না করে খাওয়া যায় এমন তালিকায় প্রথমেই আছে নুডলস। বৃষ্টির ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে গরম-গরম নুডলস খেতে কার না ভালো লাগে।
পাকোড়া: মুচমুচে পাকোড়ার খেতে পারেন বৃষ্টি দিনের বিকেলে বা সন্ধ্যায়। পাকোড়া ভীষণ মজার ও সুস্বাদু। পাকোড়ার সঙ্গে খানিকটা টমেটো কেচাপ কিংবা চাটনি হলে মন্দ হয় না। পরে যদি এক কাপ চা হয়, সেটা তো হয়ে যায় আরো বড় বোনাস।
আরো যা খাবেন:
বাদাম, কাঠবাদাম এবং খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বৃষ্টিতে ভিজলে হলুদ মেশানো দুধ খুবই কার্যকর।
ডিম ও ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডার সমস্যা থেকে শরীরকে বাঁচাতে পারে প্রোটিন।
চেরি, জাম, পেস্তা, পিচ ফল এবং তালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।