সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৭ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থপাচার, দুর্নীতি ও অপরাধের বরপুত্র তারেক রহমান

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১৭ জুন ২০২২ শুক্রবার

অর্থপাচার-দুর্নীতি-ও-অপরাধের-বরপুত্র-তারেক-রহমান

অর্থপাচার-দুর্নীতি-ও-অপরাধের-বরপুত্র-তারেক-রহমান

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে অর্থপাচার ও দুর্নীতির মহাসাগরে ডুবে গিয়েছিল দেশ। তখন সে দেশের অর্থপাচার, দুর্নীতির বরপুত্র ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে দেশে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে যা আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই চ্যাম্পিয়নের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন তারেক রহমান। তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ সাঙ্গপাঙ্গরা গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতির পাহাড়। একই সঙ্গে তারেক রহমান দেশের আনাকানাচে গড়ে তুলেছিলেন মাফিয়া ধাঁচের সন্ত্রাসী গ্রুপ। তার গঠিত গ্রুপগুলোই দেশে জ্বালাও-পোড়াও সংঘটিত করেছিল।

ঢাকার আদালত সূত্র বলছে, অর্থপাচার, দুর্নীতি ও ২৩ আগস্টের হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছেন তারেক রহমান। অর্থপাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালে তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আসামি করে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১১ সালে এ মামলার বিচার শুরু হয়। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এরপরে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর উচ্চ আদালত ২০১৬ সালে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমানকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। এছাড়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের হওয়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলার রায়ে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। 

এদিকে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে ঢাকা আদালতগুলোতে আরো ১৯টি মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব মামলার প্রত্যেকটিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। শুধু ঢাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার পাহাড়সম অপরাধ উল্লেখ রয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটি। এ মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আসামি তারেক রহমানও। 

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের হওয়া আরেকটি মামলা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আছে। এছাড়া ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ১২৩৩/১৪ নম্বরের মামলাটি। ৯৫৪/১৪, ৮৪১/১৪, ৩৮০/১৫, ৭২০/১৫ এবং ১৯৬/১৫ নম্বর মামলা আছে।

মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন ৩৮০/১৪ নম্বর মানহানির মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া ঢাকার অন্যান্য আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ১৯৬/১৫, ৬১৭/১৫, ৯৪১/১৫ ও ৩৯৩/১৪ নম্বরের মামলা। সব মামলাতেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। 

এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নসহ অন্যান্য অভিযোগে গুলশান থানার ১০২(৩)৭ ও ১৩(৫)০৭ নম্বর মামলা এবং কাফরুল থানার ৫২(৯)০৭ ও ৬৮(৩)০৭ নম্বর মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থপাচার, দুর্নীতি ও অপরাধে নিমজ্জিত তারেক রহমান। তিনি টাকার বিনিময়ে যেকোনো কাজ করতে রাজি আছেন। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলকে পুঁজি করে তিনি দেশের অর্থপাচার করেছিলেন। খাম্বা দুর্নীতি তাকে দুর্নীতির বরপুত্র বানাতে সবচেয়ে সহযোগিতা করেছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিরোধীদলকে দমন, নেতাদের হত্যাসহ বোমাবাজির অপরাধ রয়েছে, যা আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।