বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের আহ্বান সৌদি রাষ্ট্রদূতের
প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ১৬ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
বৈধপথে-রেমিট্যান্স-পাঠাতে-প্রবাসীদের-আহ্বান-সৌদি-রাষ্ট্রদূতের
বুধবার (১৫ জুন) প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘করোনা–উত্তর পরিস্থিতিতে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, সে সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, সারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সারা বিশ্বের মতো আমরাও আজ এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।’
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশের চাহিদা মেটাতে আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রবাসীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রফতানি আয়ের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীরা প্রায় ১ হাজার ৯২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সৌদিপ্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসীদের দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে সরকার ইতিপূর্বে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছিল, যা বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রবাসী যে কেউ এখন থেকে এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে সঙ্গে আরও ২ হাজার ৫০০ টাকা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন। এর আগে, পাঁচ লাখের বেশি টাকা পাঠালে প্রণোদনার টাকা পেতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল, কিন্তু বর্তমানে যেকোনো অঙ্কের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র জমা দেওয়া ছাড়াই প্রণোদনার টাকা ব্যাংকে জমা হয়ে যাবে।
বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা ডলার রিজার্ভে জমা হয় উল্লেখ করে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এর ফলে দেশের আমদানি ব্যয় ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো হয়। দেশের অর্থনীতি গতিশীল ও শক্তিশালী হয়। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীর পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে প্রবাসীর অবদান নিশ্চিত হয়। এ ছাড়া দেশে আপনার আয় বৈধ বলে বিবেচিত হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো ও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।