আবেগের রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেছে বিএনপি
প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ১৫ জুন ২০২২ বুধবার
আবেগের-রাজনীতিতে-মনোনিবেশ-করেছে-বিএনপি
এছাড়া নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পেরে তাকে নিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাক মেইল করারও চেষ্টা করা হয়েছে।
জানা গেছে, লন্ডনে অবস্থানকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা পাওয়ার পরপরই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন, আবেগকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে তৎপর হয়ে পড়েছেন দলের সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির একটি গোপন সূত্র বলছে, খালেদা জিয়াকে বিগত চার বছরে মুক্ত করতে প্রবল গণআন্দোলন গড়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। তারপরও বিএনপি একদিকে আন্দোলনের ফাঁকা আওয়াজ দিতে থাকে, অন্যদিকে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি সামনে এনে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার কৌশল নেয়। কিন্তু সেই কৌশল কাজে না দিলে তারেকের নির্দেশে অসুস্থতা নিয়ে আবেগের রাজনীতির শুরু করে বিএনপি। কারণ দলের হাইকমান্ড মনে করছে, সাংগঠনিক দুর্বলতা, কর্মীদের রাজপথে অনীহা ও নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে আগামী কয়েক বছর লাগবে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে।
তারা আরো বলেন, এ সময়ের মধ্যে দল পুনর্গঠনের পাশাপাশি হারানো জনসমর্থন আদায় করতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগের রাজনীতি করাটাকে শ্রেয় মনে করছে বিএনপির হাইকমান্ড। সেই লক্ষ্যে বিএনপি নেতাদের প্রেস-ব্রিফিং, টেলিভিশন টকশো, সভা-সেমিনার এমনকি সুযোগ বুঝে বিদেশিদের কাছেও খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য ও বক্তব্য পেশ করতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন ।
সূত্রটি এও জানায়, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেমন মতবিরোধ আছে, তেমনি পরিবারের সঙ্গে দলেরও মত-ভিন্নতার কথা শোনা গেছে। কেউ চান যেকোনো উপায়ে তার মুক্তি। আবার কেউ ‘আপসহীন’ নেত্রীর ইমেজ রক্ষায় ব্যস্ত। দল ও পরিবারের দড়ি টানাটানির প্রভাব যে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে নেতিবাচক হচ্ছে, সেটি নিয়ে এক ধরনের দুশ্চিন্তায় পড়েছে দলের হাইকমান্ড।
তাই খালেদা জিয়াকে নিয়ে সব ধরনের বিতর্ক থেকে দূরে রাখতে তার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করাটাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে এই কৌশল নিয়েও অনেকের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এরপরও রাজপথের রাজনীতিকে পুনর্জাগরণের প্রচেষ্টায় আবেগকে আপাতত প্রাধান্য দিতে চায় বিএনপি।